কিভাবে হনুমান চালিশা মন্ত্র বৈজ্ঞানিকভাবে কাজ করে

How Hanuman Chalisa Mantra Works Scientifically / How Mantras Work /  Will Mantras Work?



How mantras work scientifically, how hanuman chalisa work
How Mantras work Scientifically 



জীবনের যেকোন সমস্যায় সাধারণত আমরা হনুমান চালিশা বা অন্য কোন মন্ত্র পাঠ করে থাকি। আবার অনেকেই এই সব মন্ত্র অবৈজ্ঞানিক বলে মনে করে থাকে তাই বিশ্বাসও করে না। কিন্তু আপনি জানেন কি এই সব মন্ত্র একদম বৈজ্ঞানিক উপায়ে কাজ করে। তাহলে আজকে জেনে নেব কিভাবে হনুমান চালিশা মন্ত্র বৈজ্ঞানিক ভাবে কাজ করে থাকে।

বৈজ্ঞানিক ভাবে যেকোন মন্ত্র কারও মানসিক শক্তি ও শক্তি বিকাশ, মানসিক চাপ কমিয়ে আনা এবং একজনকে উচ্চতর স্তরের চেতনায় নিয়ে যেতে সহায়তা করে। হনুমান চালিশা মন্ত্র বা অন্য কোন মন্ত্র নিয়মিত পাঠ করলে ভয়, ক্রোধ ও হতাশাকে মুছে ফেলা যায়। এছাড়া শ্বসন, হজম, প্রজনন, সংবহন, বৌদ্ধিক এবং জ্ঞানীয় তন্ত্র গুলি যে কোন ব্যাধি থেকে মুক্তি দিতে পারে। বৈদিক মন্ত্র বা হনুমান চালিশা পাঠ করতে বলা হয় কারণ কারও মানসিক শক্তি বিকাশ ঘটিয়ে মানসিক চাপ কমিয়ে আনে এবং একজনকে উচ্চতর স্তরের চেতনায় নিয়ে যেতে সহায়তা করে।  জপ এছাড়াও কারও স্মৃতি শক্তির বিকাশ ঘটায়।

যে কোন মন্ত্র রক্তচাপ, হার্ট স্পন্দনের হার, মস্তিষ্কের তরঙ্গ এবং অ্যাড্রেনালিন স্তর নিয়ন্ত্রণ করে। মনে রাখবেন, নিয়মিত ওষুধের মতোই নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট মন্ত্র রয়েছে।

আমাদের শরীরের ভেতরের সব তন্ত্র গুলি একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। হনুমান চালিশা মন্ত্র সঠিক ভাবে পাঠ করলে আমাদের মধ্যে একটি পজিটিভ এনার্জি তৈরি হয় যা আমাদের শরীরের ভেতরের যে জল রয়েছে তার আণবিক গঠনগুলি পরিবর্তন হয়। আমাদের শরীরের 79% কিন্তু জল। মনে রাখবেন আমাদের শরীরের যে কোন রোগ ব্যাধির কারনই হল আণবিক গঠনের অসংগঠিত ভাবে পরিবর্তন। এই মন্ত্র গুলি আজ থেকে কয়েকশো বছর বা কয়েক হাজার বছর পুরোনো হলেও এগুলোর ছন্দের গঠন এমন ভাবে তৈরি যা নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে আমাদের শরীরের আণবিক গঠন পরিবর্তন করতে সক্ষম।

আমাদের শরীরের যে কোন রোগ সারাবার জন্য আমরা ঔষধ খাই, সেই রোগের সম্পর্কিত খাবার খাই বা অন্য কোন চিকিৎসা শাস্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করি। কিন্তু আপনি হয়ত জানেন আমাদের শরীরের ভেতরের পরিবেশ অর্থাৎ সেই ঔষধ বা পথ্য গ্রহনের মানষিক ক্ষমতা না থাকলে যে সব কাজ করে না। আমাদের মানষিক বল প্রদান করে সেই ঔষধ বা পথ্যের কার্যকরিতা বৃদ্ধি করে মন্ত্র গুলো।

এবার আসি আমাদের শরীরের মস্তিষ্কের কথায়। আমাদের শরীরের ব্রেন ঠিক বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের মত অনেক তরঙ্গ বিচ্ছুরিত করে যাকে Brain Waves বলা হয়। এই ব্রেন ওয়েভ গুলোই মানুষের চরিত্র নির্ধারণ করে বা কোন অবস্থায় কোন মানুষ ঠিক কি কাজ করতে সক্ষম তা ঠিক করে।

আমাদের ব্রেন মোট পাঁচ প্রকারের তরঙ্গ সৃষ্টি করতে পারে। সেগুলো হল : বিটা, আলফা, থিটা, ডেল্টা, গামা। ব্রেনের এক একটি অবস্থা আমাদের মনের চিন্তার সংখ্যার ওপর নির্ভর করে। যেমন ব্রেনের বিটা অবস্থা 48 হাজার থেকে 60 হাজার চিন্তা নিয়ে আসে। আমরা সাধারন মানুষ দিনে প্রায় 60 হাজার চিন্তা করে থাকি।সেই জায়গায় আলফা অবস্থায় আমাদের মন মাত্র 30 টি চিন্তা নিয়ে আসতে সক্ষম। সেই রকম থিটা অবস্থায় 15 টি, ডেল্টা অবস্থায় 10 টি। এই রকম বিভিন্ন অবস্থায় চিন্তার সংখ্যা কমতে কমতে গামা অবস্থায় ব্রেনের চিন্তা শূন্য হয়। কোন যোগী যখন ধ্যান করেন তখন তার ব্রেন গামা অবস্থায় থাকে। তাই বিভিন্ন চিন্তা আমাদের নানান দিকে ধাবিত করে। এই মন্ত্র পাঠ আমাদের মনের অহেতুক চিন্তা গুলোকে কমিয়ে আনে। ভাবুন আমরা কোন ভাবে মনকে যদি একটি স্তর ওঠাতে পারি অর্থাৎ বিটা স্তর থেকে আলফা স্তরে তাহলে মনের চিন্তা কতটা কমাতে সক্ষম হব। আমাদের একাগ্রতা বৃদ্ধি পাবে। আমরা যে কোন কাজে সফলতা পাব।

প্রত্যহ হনুমান চালিশা পাঠ করলে বা অন্য যে কোন মন্ত্র পাঠ করলে আমাদের ব্রেনের পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে কিছু রাসায়নিক নির্গত হয় যা আমাদের মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় আমাদের মনে সাহস আনে এবং আমরা যে কোন কাজে সফল হই।

আপনারা সবাই হয়ত মনোবিজ্ঞানের Sound Therapy র কথা শুনেছেন। এই Sound Therapy তে কি হয় যে রোগীকে তার রোগ অনুযায়ী নিদিষ্ট Sound Wave দেওয়া হয়। সেই শব্দ তরঙ্গ রোগীর শরীরে প্রবেশ করে এক ভাইব্রেশন তৈরি করে। সেই আধারে রোগীর চিকিৎসা হয়। ঠিক সেই রমক ভাবেই কোন মন্ত্র কাজ করে থাকে। আমাদের শরীরে নিদিষ্ট ভাইব্রেশন তৈরি করে আমাদের অন্তর আত্মার জাগরণ ঘটায়।

উপরের আলোচনা থেকে আমরা সহজেই অনুধাবন করতে পারি যে বৈজ্ঞানিক ভাবেই হনুমান চালিশা মন্ত্র আমাদের জীবনের আদ্য প্রান্তে জড়িয়ে আছে। আমাদের জীবনের যে কোন সমস্যাতেই এই পাঠ অব্যর্থ দৈব বাণের মত কাজ করে। আধ্যাত্মিক ভাবেই হোক আর বৈজ্ঞানিক ভাবেই হোক হনুমান চালিশা আমাদের এক অনন্য চালিকাশক্তি।

আরও পড়ুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *