শ্রী হনুমান দ্বাদশ নাম স্তোত্রম্ বজরংবলীর ১২ টি নাম সম্বলিত একটি স্তোত্র। এই স্তোত্র হনুমানজীর অন্যতম একটি শক্তিশালী মন্ত্র। এই মন্ত্র পাঠে ভক্তের সকল বাধা দূর হয় এবং জীবনে আসে সাফল্য। আপনারা আজ জানবেন হনুমান দ্বাদশ নাম স্তোত্র কিভাবে এবং কখন পাঠ করতে হয়, এই স্তোত্র পাঠের কার্যকারিতা এবং এর বাংলা অর্থ।
কিভাবে এবং কখন এই স্তোত্র পাঠ করতে হয় :
এই স্তোত্রতেই এর পাঠের বিধি খুব সুন্দর ভাবে বলা রয়েছে। এই স্তোত্র সকালে এবং কোথাও যাত্রা শুরুর আগে পাঠ করতে হয়। আপনি সকালে স্নান সেরে, শুদ্ধ কোন বস্ত্র পরিধান করে হনুমানজীর ফটো বা মূর্তির সামনে কোন লাল আসনে বসে ধূপ ও প্রদীপ জ্বালিয়ে এই স্তোত্র পাঠ করতে হয়। আপনি নিত্য কর্মক্ষেত্রে যাবার আগে এই নিয়মে স্তোত্রটি পাঠ করবেন। আপনি যদি কোথাও যাত্রা শুরুর আগে এটি পাঠ করেন তাহলে সেই যাত্রার উদ্দেশ্য সফল হয়। হঠাৎ কোন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যাত্রা করতে হলে যাত্রা শুরুর আগে প্রভু রাম এবং হনুমানজীকে স্মরণ করে এই মন্ত্র পাঠ করবেন। কতবার পাঠ করবেন তা কোথাও বলা নেই। আপনি আপনার মত যতবার সম্ভব ততবার পাঠ করবেন। কোন মঙ্গলবার থেকে এই স্তোত্র পাঠ করতে হয়। এই স্তোত্র যখন যেভাবেই জপ করেন তার আগে প্রভু রামের নাম স্মরণ করতে কিন্তু ভুলবেন না।
এই স্তোত্র পাঠের উপকারিতা :
এই স্তোত্রতেই বলা রয়েছে যিনি এই স্তোত্র সকাল বেলা পাঠ করেন তার মৃত্যু ভয় সহ কোন প্রকার ভয়ই থাকে না। আবার বলা রয়েছে যে ব্যক্তি ভ্রমনের আগে যে এই স্তোত্র পাঠ করবে সে সর্বদা বিজয়ী হবেন। এই স্তোত্রেই বজরংবলীকে লক্ষন প্রান দাতা বলা হয়েছে এবং সীতা শোক বিনাশক বলা হয়েছে। তাই এই স্তোত্র পাঠে সকল রোগ ভোগ থেকে মুক্তি মেলে এবং সকল শোক বা দুঃখ বিনাশ হয় এছাড়াও জ্ঞান, প্রজ্ঞা, খ্যাতি, বুদ্ধি, নাম যশ ইত্যাদি পাওয়া যায়।
হনুমান দ্বাদশ নাম স্তোত্র // Anjaneya Dwadasanama Stotram in Bengali
হনুমানংজনাসূনুঃ বায়ুপুত্রো মহাবলঃ ।
রামেষ্টঃ ফল্গুণসখঃ পিংগাক্ষোঽমিতবিক্রমঃ ॥
উদধিক্রমণশ্চৈব সীতাশোকবিনাশকঃ ।
লক্ষ্মণ প্রাণদাতাচ দশগ্রীবস্য দর্পহা ॥
দ্বাদশৈতানি নামানি কপীংদ্রস্য মহাত্মনঃ ।
স্বাপকালে পঠেন্নিত্যং য়াত্রাকালে বিশেষতঃ ।
তস্যমৃত্যু ভয়ংনাস্তি সর্বত্র বিজয়ী ভবেত্ ॥
বাংলা অর্থঃ হে অঞ্জনা ও বায়ুর পুত্র হনুমানজী। আপনি অসীম শক্তির অধিকারী. আপনি শ্রীরামের পরম ভক্ত। আপনি মহাভারতের মহান যোদ্ধা অর্জুনের বন্ধু। আপনি বাদামী চোখের অধিকারী এবং আপনি অসীম সাহসী ব্যক্তিত্বের একজন। সমুদ্র পার হয়ে তুমি সীতার দুঃখ বিনাশ করেছ। আপনার জন্যই লক্ষ্মণ তার প্রান ফিরে পেয়েছে। আপনি দশমুখী রাবণের অহংকার দর্প করেছেন। এগুলি সবই মহান আত্মা বানর রাজ শ্রীহনুমানের বারোটি নাম। যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে এবং বিশেষ করে ভ্রমণের সময় এগুলো পাঠ করবে, তার কোন প্রকার মৃত্যুভয় থাকবে না এবং তিনি সর্বদা বিজয়ী হবেন।