হিন্দু ধর্মে দেবাধিদেব গণপতির পূজা এবং মন্ত্রোপাঠ করলে সকল বাধা-বিপত্তি, সঙ্কট দূর করে সফলতা নিয়ে আসে। ভক্তি ভরে ভগবান শ্রী গণেশের আরাধনা করলে সাধকের সমস্ত কাজ কোনও বাধা ছাড়াই যথাসময়ে সম্পন্ন হয়। গণপতি এমন এক দেবতা যিনি কেবল দূর্বা নিবেদন করেই প্রসন্ন হয়ে ভক্তদের উপর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন। সনাতন পরম্পরায়, গণেশের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য জপ এবং উপবাস প্রভৃতি সমস্ত ধরণের প্রতিকারের কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে মন্ত্র জপ একটি অত্যন্ত কার্যকর প্রতিকার।
১) বক্রতুন্ড মহা-কায়া গণেশ মন্ত্র :
ওঁ বক্রতুন্ড মহা-কায়া সূর্য-কোটি সমপ্রভা।
নীর-বিঘ্নম্ কুরু মে দেব, সর্ব-কার্যেষু সর্বদা।।
২) গণেশ গায়ত্রী মন্ত্র :
ওঁ একদন্তায় বিদ্ধামহে,
বক্রতুন্ডায় ধীমহি,
তন্নো দন্তি প্রচোদয়াৎ ||
৩) গণেশ পুজা মন্ত্র :
ওঁ গং গণপতয়ে নমঃ ||
৪) ঋণহর্তা গণেশ মন্ত্র :
ওঁ গণেশ ঋন্নাম
ছিন্দি বরেন্যাম
হুং নমঃ ফট্।
৫) গণেশ মূল মন্ত্র :
ওঁ শ্রীম হ্রীম ক্লীম গ্লম গ্লৌম গণপতয়ে ভার ভারদ সর্বজনজন্মায় বশমনায়ে স্বাহা,
একদন্তায় বিদমহে বক্রতুণ্ডায় ধীমহি তন্নো দন্তি প্রচোদয়াৎ,
ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি ||
কিভাবে জপ করতে হয় গণেশ মন্ত্র :
ভাল করে ঠাকুর ঘর পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর চারিদিকে গঙ্গা জল ছড়িয়ে, পরিষ্কার জামা-কাপড় পরে বসতে হবে গণেশের মূর্তি বা ছবির সামনে। তারপর তার সামনে মোদক, তাঁর প্রিয় যে কোনও লাল ফুল এবং দুর্বা অর্পন করবেন এবং সঙ্গে ধুপ-ধুনো এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে এক মনে শুরু করতে হবে মন্ত্রচ্চারণ। আর সবশেষে গণেশ ঠাকুরের ছবি বা মূর্তিতে সিঁদুর লাগিয়ে শেষ করতে হবে আরাধনা। যেকোন বুধবার থেকে এই মন্ত্র পাঠ গুলো শুরু করবেন। গণেশ পুজোয় কখনও তুলসীপত্র নিবেদ করবেন না।