অনেকের যুক্তিবাদী মন ভগবানের অস্তিত্ব স্বীকার করেন না। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন পৃথিবীর বৃহত্তম মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA ও স্বীকার করল Lord Shiva র অস্তিত্ব। একবার নয় বারবার তারা স্বীকার করেছে ভোলেনাথের অস্তিত্ব। অনেকে একে NASA Research on Lord Shiva বলে অভিহিত করেন। শুধু তাই নয় আমাদের জীবকুলের আনবিক গঠন DNA ও প্রথম পৃথিবীতে এসেছিল শিব লিঙ্গ রুপে। বিশদ্ জানতে প্রতিবেদনটি পুরোটা পড়ুন।
নাসার বিভিন্ন সময়ে টেলিস্কোপে তোলা ছবি গুলিতে বারবার শিবের অস্তিত্বের প্রমান পাওয়া গেছে। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার নিউক্লিয়ার স্পেকট্রোস্কোপিক টেলিস্কোপ অ্যারে বা Nuclear Spectroscopic Telescope Array (NuSTAR) 2014 সালে একটি নীহারিকার ছবি তুলেছিল। অনেকে এটিকে শিবের হাত বলে দাবী করেছিল। এর নাম দেওয়া হয়েছে “হ্যান্ড অফ গড” এটিকেই NASA hand of god space image বলা হয়। অর্থাৎ ঈশ্বরের হাত। হাতের মতো দেখতে এই নীহারিকাটি পৃথিবী থেকে 17 হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করছে । বিজ্ঞানের ভাষায় একে “পালসার উইন্ড নেবুলা” বলা হয়। কিন্তু লোকেরা এটিকে শিবের হাত বলে মনে করেছিল।
Picture : NASA
২০১০ সালে, নাসার হাবল টেলিস্কোপটি দ্বারা বিজ্ঞানীরা পৃথিবী থেকে 75000 আলোকবর্ষ দূরে গ্যাসের এক নীহারিকা দেখতে পেয়েছিল। এর নাম দেওয়া হয়েছিল ক্যারিনা নেবুলা (Carina Nebula) । এটির আকার ছিল জটাধারি শিবের মত। এই আশ্চর্য নীহারিকাটি নবজাত নক্ষত্রের থেকে মুক্তি পাওয়া গ্যাসগুলির কারণে তৈরি হয়েছিল। সেই সময় অনেকে বলেছিল “Nasa Captured Lord Shiva“।
একইভাবে, 2017 সালে, NASA র বিজ্ঞানীরা হাবল টেলিস্কোপটির প্রয়োগ করে মহাকাশে বিভিন্ন আকারের মেঘের একটি গুচ্ছের সন্ধ্যান পান। এই মেঘের গুচ্ছটি দেখতে মাহাদেবের ত্রিশূলের মতো ছিল । এথেকে এই জিনিসটি অনেকটা অনুমান করা যায় যে বারবার টেলিস্কোপে ধরা পড়া শিবজীর প্রতিচ্ছবি তার অস্তিত্ব একদম উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
Pic : NASA
নাসা এক গবেষণায় স্বীকার করে নিয়েছিল যে পৃথিবীতে প্রথম ডিএনএ এসেছে শিবলিঙ্গ থেকে। ২০১১ সালের আগস্টে আলাস্কাতে একটি উল্কা পৃথিবীতে আঘাত হানে। এই উল্কাটির আকার ছিল অনেকটা শিব লিঙ্গের আকারের। নাসার বিজ্ঞানীরা যখন এই শিব লিঙ্গ নিয়ে অধ্যয়ন করে, তখন তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে শিবলিঙ্গের মাধ্যমে ডিএনএ প্রথমবারের মতো পৃথিবীতে এসেছিল।
নাসার একটি গবেষণার নামও দেওয়া হয়েছে শিবের নামানুসারে। এই নাসা প্রকল্পের নাম The Shiva Project। অর্থাৎ Spaceflight Holography Investigation in a Virtual Apparatus. এটি গবেষণাটি পরিবেশ এবং মহাকাশে উপস্থিত অত্যন্ত ক্ষুদ্রতর কণার মাধ্যাকর্ষণ শক্তি অধ্যয়ন করার জন্য করা হয়েছিল।
অস্ট্রেয়ায় জন্ম আমেরিকার বিখ্যাত বিজ্ঞানি Fritjof Capra 1972 সালে তার বিখ্যাত বই Main Currents in Modern Thought এ The Dance of Shiva তে শিবের নৃত্য ও পরমানুর উৎপত্তির মধ্যে সমতার কথা বলেছেন।
বিশ্বের বৃহত্তম ল্যাবরেটরি সিইআরএন [ CERN ] এর বাইরে 2004 সালে 8ই জুন নটরাজের দুই ফুট একটি মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। এর কারন হিসেবে তাদের কাছ থেকে যে ব্যাখ্যা পাওয়া যায় তা হল শিবের এই মূর্তি জীবনের উৎস দেখায়।
সিইআরএন-এর বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে তারা যে পরীক্ষাটি করছেন তারা ভগবান শিবের সংহার নীতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি। অর্থাৎ প্রথমে ধ্বংস করুন এবং তারপরে তৈরি করুন। সে কারণেই সিইআরএন পরীক্ষাগারের বাইরে শিবের একটি মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে।
ওপরের তথ্য গুলি পড়ে আপনার কি মনে হচ্ছে না যে NASA ও কি তাহলে স্বীকার করল ভগবান শিবের অস্তিত্ব? এতসব তথ্য প্রমাণের পরও কি আমাদের মধ্যে ভগবানের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন আসছে? আমাদের দেওয়া তথ্য গুলি যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে আমাদের নীচে Comment করে অবশ্যই জানান। এই ধরনের আরও অজানা তথ্য পেতে আমাদের এই বল্গটি নিয়মিত Visit করুন। আমরা প্রতি সপ্তাহেই এই ধরনের অনেক অজানা তথ্য নিয়ে আসব।