Bajrang Baan in Bengali with Full Meaning :
Bajrang Bali |
বজরং বাণ পাঠের এক মৌলিক নিয়ম হল এর অর্থ সহ পাঠ। হনুমানজীর বজরং রুপের আরাধনা করতে এই বজরং বাণ পাঠ করা হয়। যেকোন মন্ত্র বা স্তব পাঠ করার সময় এর অর্থ বুঝে পাঠ করলে এর মাহাত্ম অনুধাবন করা যায়। একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা এই বজরং বাণ সব সময় সব পরিস্থিতিতে দয়া করে পাঠ করবেন না। কখন কোন পরিস্থিতিতে এটি পাঠ করা যায়, এটি কিভাবে পাঠ করতে হয় এ বিষয়ে বিশদে জানতে এখানে Click করুন। বজরং বাণের pdf পেতে এখানে Click করুন।
শ্রী বজরং বাণ
দোহা
নিশ্চয় প্রেম প্রতীতি,
বিনয় করি সম্মান।
তহি কে করজ সকল শুভ,
সিদ্ধ করেঁ হনুমান।।
যে সমস্ত ভক্তরা প্রেম ও অটল বিশ্বাসের সঙ্গে এই চৌপাঈ গুলি পাঠ করেন তাদের মনের সমস্ত শুভ মনস্কামনা হনুমানজী পূর্ণ করেন।
চৌপাই
জয় হনুমন্ত সন্ত হিতকারী।
সুন লীজৈ প্রভু অরজ হামারী।।
জনকে কাজ বিলম্ব ন কীজে।
আতুর দৌরি মহাসুখ দীজে।।
হে হনুমানজি ভক্তদের উপকারী,আমার প্রার্থনা শুনুন ভক্তদের কাজে বিলম্ব করবেন না,আপনি ছুটে যান আর আপনার ভক্তদের মহাসুখ প্রদান করুন।
জ্যয়সে কুদি সিন্ধু মহি পারা।
সুরসা বদন পৈঠি বিস্তরা।।
আগে জাঈ লঙ্কিনী রোকা।
মারেহু লাথ গই সুর লোকা।।
যেমন করে এক লাফে সমুদ্র পার করেছিলেন।সুরসার প্রসারিত মুখ থেকে বের হয়ে এসেছিলেন লঙ্কিনী পিতা যে আপনাকে লঙ্কায় প্রবেশে বাধা দিয়েছিল তাকে লাথি মেরে স্বর্গ লোকে প্রেরন করেছিলেন।
জয়ে বিভীষণ কো সুখ দীনহা।
সীতা নিরখি পরম পদ লীনহা।।
বাগ উজারি সিন্ধু মহঁ বোরা।
অতি আতুর যম কাতর তোরা।।
লঙ্কায় গিয়ে আপনি বিভীষণকে সুখ প্রদান করেছিলেন। মাতা সিতা কে খুঁজে বের করে পরম পদের প্রাপ্তী করেছিলেন। আপনি রাবনের লঙ্কার অশোক গাছ উপড়ে দিয়েছিলেন।এবং রাবণের পাঠানো সৈন্যদের জন্য যমদূত হয়ে উঠেছিলেন।
অক্ষয় কুমারা মারি সংহারা।
লুম লপেট লঙ্ক কো জারা।।
লহ সমান লঙ্ক জরি গই।
জয় জয় ধ্বনি সুরপুর মহঁ ভই।।
আপনি অক্ষয় কুমার (রাবণ পুত্র) কে হত্যা করেছিলেন। আপনি ল্যাজ দিয়ে লঙ্কাকে মোমের তৈরি মহলের মত জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন। আপনার জয়ের ধ্বনীতে স্বর্গ মুখরিত হয়েছিল।
অব বিলম্ব কেহি করন স্বামী।
কৃপা করহু উর অন্তর্যামী।।
জয় জয় লক্ষন প্রান কে দাতা।
আতুর হোয় দুখ করহু নিপাতা।।
তবে কেন এখন প্রভু দেরি করছেন? কৃপা কর হে অন্তর্যামী। জয় হোক আপনার হে লক্ষণের প্রাণ দাতা।দ্রুত আমার ভয় দুঃখ দূর করো।
জয় গিরিধর জয় জয় সুখ সাগর।
সুর সমূহ সমরথ ভটনাগর।।
ওম হনু হনু হনু হনুমন্ত হঠীলে।
বৈরিহি মারূ বজ্র কী কীলে।।
হে গিরিধারী সুখের সাগর বজরংবলী আপনার জয় হোক। সমস্ত দেবতা সহিত স্বয়ং ভগবান বিষ্ণুর মত সামর্থ্য যে রাখে পবনপুত্র হনুমান আপনার জয় হোক।হে পরমেশ্বর রুপী হটীলে-বজ্র কীলে শত্রুদের উপর প্রহার করুন।
গদা বজ্র লৈ বৈরিহি মারো।
মহারাজ প্রভু দাসা উবারো।।
ওঙ্কার হুঙ্কার মহাপ্রভু ধাবো।
বজ্র গদা হনু বিলম্ব না লাবো।।
হে প্রভু আপনি আপনার গদা দিয়ে আপনার ভৃত্যদের শত্রুর উপর প্রহার করে তাদের মুক্তি দিন। ওঁমের বজ্রধ্বনি বলে শত্রুদের চ্যালেঞ্জ করুন এবং তাদের আপনার গদা দিয়ে পিষ্ট করতে বিলম্ব করবেন না।
ওম্ হ্রীঁ হ্রীঁ হ্রীঁ হনুমন্ত কপীশা।
ওম হুঁ হুঁ হুঁ হনু অরি উর শীশা।।
সত্য হোহু হরি শপথ পায়কে।
রামদূত ধরু মারু ধায় কে।।
হে হনুমানজী বানর প্রভু আপনাকে হ্রীঁ হ্রীঁ হ্রীঁ এবং ওঁম হুঁম হুঁম হুঁম মন্ত্রের সাথে আহ্বান জানাই। আপনি শত্রুদের বুকে ও মাথায় আঘাত করুন। আমি হরির নামে শপথ করে যা বলছি তা সত্য বলছি। যে শ্রী রামের দূত আপনি শত্রু আক্রমনে ছুটে যান।
জয় জয় জয় হনুমন্ত অগাধা।
দুঃখ পাবত জন কেহি অপরাধা।।
পূজা জপ তপ নেম অচারা।
নেহি জানত হো দাসা তুমহারা।।
হে হনুমানজী আমি আমার হৃদয় অন্তর থেকে আপনার জয়জয়কার করছি। কোন অপরাধে আপনার ভক্ত এত কষ্ট পাচ্ছে? আপনার এই দাস পূজার সব জপ, তপ, পূজার আচার বিচার কিছুই জানেনা।
বন উপবন মগ, গিরী গৃহ মাঁহী।
তুমহার বল হাম ডরপত নাহী।।
পাঁয় পরৌ কর জোরি মানাবৌ।
ইয়হি অবসর অব কেহি গোহরাবৌ।।
বন উপবন পাহাড় রাস্তা বা গৃহে আপনার বলে আমি কোথাও ভয় পাই না। আপনার সামনে আমি কর জোড় করছি, পায়ে পড়ছি। এই সময় আর কাকে স্মরণ করব বল?
জয় অঞ্জনী কুমার বলবন্তা।
শঙ্কর সুবন ধীঁর হনুমন্তা।।
বদন করাল কাল কুল ঘালক।
রাম সহায় সদা প্রতিপালক।।
হে হনুমানজি অঞ্জনীর সর্বশক্তিমান পুত্র এবং শিবের সাহসী পুত্র আপনার জয় হোক। আপনার শরীর কালের সমান বিশাল। আপনি সর্বদা শ্রী রামের আদেশ পালন করেছেন।
ভূত প্রেত পিশাচ নিশাচর।
অগ্নিবেতাল কাল মারীমর।।
ইনহেঁ মারু তোহি শপথ রামকী।
রাখু নাথ মর্যাদা নাম কী।।
ভূত,প্রেত,পিশাচ,নিশাচর,অগ্নি,বেতাল,কাল মহামারীর মতো দুষ্টু আত্মাকে আপনি আপনার অগ্নিতে ভস্ম করে দেন।আপনাকে শ্রী রামের দিব্যি আপনি এদের হত্যা করে শ্রী রাম নামের মর্যাদা রাখুন।
জনক সুতা হরি দাস কহাবো।
তাকী শপথ বিলম্ব ন লাবো।।
জয় জয় জয় ধুনি হোত আকাশা।
সুমিরত হোত দুসহ দুঃখ নাশা।।
আপনি শ্রীরাম ও মাতা সীতার দাস। তাদের দিব্যি দিয়ে অনুরোধ করছি আর বিলম্ব করবেন না। আপনার নামের জয় ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত হচ্ছে। আপনার স্মরণে দুঃখ-কষ্ট সব নাশ হয়ে যায়।
চরন স্মরণ করি জোরি মনাবোঁ।
য়হি অবসর অব কেহি গোহরাবৌঁ।।
উঠু উঠু চলু তোহি রাম দুহাই।
পায় পরৌ কর জোরি মনাই।।
আপনার পদ যুগল স্মরণে রেখে কর জোড়ে আপনাকে রাজী করাই। এই বিপদের সময় আর কাকে স্মরণ করব? উঠুন উঠুন আপনাকে শ্রী রামের দোহাই। আপনার পায়ে দন্ডায়মান হয়ে কর জোড়ে আপনার কৃপা আশা করছি।
ওম চং চং চং চং চপল চলন্তা।
ওম হনু হনু হনু হনু হনুমন্তা।।
ওম হং হং হঁংকা দেত কপি চঞ্চল।
ওম সং সং সহমি পরানে খল দল।।
হে সদা চলন্ত হনুমানজি চলে আসুন। হনুমানজী আপনার হুংকারে রাক্ষস দল ভয় পেয়ে গেছে।
অপনে জন কো তুরত উবারো।
সুমিরত হোয় আনন্দ হমারো।।
য়হ বজরঙ্গ বাণ জেহি মারে।
তহি কহো ফির কৌন উবারে।।
হে বজরং বলি আপনার ভক্তদের শীঘ্র কল্যাণ করুন। আপনার সুমিরনে সবার শুভ হোক। আপনার এই বজরং বান যার লাগবে তাকে কে উদ্ধার করবে?
পাঠ করে বজরঙ্গ বান কী।
হনুমাত রক্ষা করে প্রান কী।।
য়হ বজরঙ্গ বান জো জাঁপে।
তাঁতে ভূত প্রেত সব কাপৈ।।
ধূপ দেয় অরু জপৈ হমেশা।
তাঁকে তন নহি রহে কলেশা।।
যে বজরং বাণের পাঠ করেন ভগবান হনুমান স্বয়ং তার প্রাণ রক্ষা করেন। যে এই বজরং বাণ পাঠ করে তাকে দেখে ভুত-প্রেত সবাই ভয়ে কাঁপতে থাকে। যে বজরংবলীকে ধূঁপ,প্রদীপ জ্বালিয়ে বজরং বাণের পাঠ করে তার কোনদিন কোন কষ্ট হয়না।
দোহা
প্রেম প্রতীতহি কপি ভজৈ,
সদা ধরৈ উর ধ্যান।
তেহি কে কারজ সকল শুভ,
সিদ্ধ করে হনুমান।।
যে ভক্ত প্রেমের সঙ্গে মহাবীর শ্রী হনুমানের ভজন করেন,যে হৃদয়ে সদা তাকে ধারণ করে রাখেন তার সকল কার্য স্বয়ং শ্রীহনুমান সিদ্ধ করেন।
আরও পড়ুন :