What are the Ashta Siddhis :
“অষ্ঠসিদ্ধি নবনিধি কে দাতা। অস বর দীন্হ জানকী মাতা”। হনুমান চালিশা পাঠ করতে গিয়ে একত্রিশতম চৌপাইয়ে আমরা এই দুটি লাইন পেয়ে থাকি। এর অর্থ আমরা অনেকেই হয়ত জানি না। এর আক্ষরিক অর্থ হল সীতা মাতার বরে আপনি অষ্ট সিদ্ধি এবং নব নিধির দাতা। অর্থাৎ মাতা সীতার বরে হনুমানজী শুধুমাত্র অষ্ঠসিদ্ধির ও নবনিধির অধিকারই নন তিনি এই দুই বরের দাতাও। অর্থাৎ হনুমানজীর আরাধনায় এই আট সিদ্ধি এবং নয় নিধির প্রপ্তি হয়। আপনি জানেন কি এই অষ্ট সিদ্ধি কি? এই সিদ্ধি লাভে সাধক কোন কোন ক্ষমতার অধিকারী হন? হনুমানজী এই অষ্ট সিদ্ধির বর পেয়ে কোথায় কোথায় প্রয়োগ করেছিলেন? আসুন এবার একে একে বিস্তারিত ভাবে জেনেনি এই অষ্ট সিদ্ধি গুলি সম্পর্কে।
অষ্ট সিদ্ধি কি?
হনুমানজী হলেন শিবজীর একাদশ তম রুদ্র অবতার, রামজী হলেন বিষ্ণুর অবতার আর সীতা মাতা হলেন মাতা লক্ষ্মীর অবতার। সেই লক্ষ্মী অবতার মাতা সীতার কাছেই এই হনুমানজী এই বরদান পেয়েছিলেন। প্রকৃতপক্ষে অষ্ট সিদ্ধির কথা বলা রয়েছে মারকানডেয় পুরান ও ব্রহ্মাবৈবর্ত পুরানে। পুরানে বলা রয়েছে :
अणिमा महिमा चैव लघिमा गरिमा तथा |
प्राप्तिः प्राकाम्यमीशित्वं वशित्वं चाष्ट सिद्धयः ||
অর্থাৎ অনীমা, মহীমা, লঘিমা, গরিমা, প্রাপ্তি, প্রাকাম্য, ঈশিত্ব ও বশিত্ব, এই আট প্রকার সিদ্ধির কথা বলা হয়েছে। হনুমানজী নিজেই এই অষ্ট সিদ্ধির অধিকারী ছিলেন। রামায়ন এবং মহাভারতেও হনুমানজীর এই অষ্ট সিদ্ধির প্রভাব আমরা সময়ে সময়ে দেখতে পেয়েছি।
সিদ্ধির অর্থ : সিদ্ধি হল এমন এক প্রকার আধ্যাত্মিক, অলৌকিক, অতিপ্রাকৃিতক মহাজাগতিক শক্তি যা কোন সাধক ধ্যানালুশীলন এবং যোগের মাধ্যমে অর্জন করেন। অর্থাৎ সিদ্ধি লাভ করে কোন ব্যক্তি মহাজাগতিক শক্তির অধিকারী হন।
অষ্ট সিদ্ধির প্রকারভেদ :
অণিমা : এই সিদ্ধি লাভে সাধক তার শরীরকে অত্যন্ত ছোট করার ক্ষমতা রাখে। কতটা ছোট? এক অনুর ন্যায় সাধক তার শরীর ছোট করতে পারে। হনুমানজীও তাঁর এই অণিমা সিদ্ধির দ্বারা লঙ্কাপুরী নিরক্ষণ করেন এবং সেখানে প্রবেশ করেন।
মহীমা : এই সিদ্ধিটি উপরের অণিমা সিদ্ধির একদম বিপরীত। এই মহীমা সিদ্ধিতে সাধক তার শরীরের আকৃতি পাহাড় সমান বড় করতে পারে। এই সিদ্ধির মাধ্যমে হনুমানজী তার শরীর একশত যোজন বড় করেছিলেন। হনুমানজী সুরসার মুখ গহ্বরের সামনে তার শরীর বিশালাকার করেছিলেন। এছাড়াও তিনি সীতা মাতাকে বানর সেনার ক্ষমতা উপলব্ধি করাতে এই মহীমা সিদ্ধির ব্যবহার করেছিলেন।
গরীমা : গরীমা সিদ্ধির প্রয়োগে সাধক তার তার নিজের ইচ্ছা অনুসারে দেহের ওজন বাড়াতে পারে। হনুমানজীর এই সিদ্ধির প্রয়োগ আমরা মহাভারতে দেখতে পাই। তিনি ভীমের অহম চূর্ণ করবার জন্য এই সিদ্ধির প্রয়োগ করেছিলেন। ভীম তার শরীরের শক্তি নিয়ে ছিলেন আত্মঅহংকারী। তিনি মনে করতেন তার মত বল শালী আর কেও নেই। একবার হনুমানজী ভীমের রাস্তায় বৃদ্ধ বানর সেজে তার ল্যাজ ছড়িয়ে শুয়ে ছিলেন। ভীম রাস্তায় পড়ে থাকা ল্যাজ বৃদ্ধ বানরকে সরাতে বলেন। বানর উওর করেন যে তিনি বার্ধক্যের কারনে তার ল্যাজ সরাতে অক্ষম। তিনি যাতে নিজেই ল্যাজ সরিয়ে রাস্তা করে নেন। অসীম শক্তিশালী ভীম কিন্তু সেই ল্যাজ সরাতে অক্ষম হয়েছিল অত্যন্ত ভাড়ের কারনে। ভীমের দর্প চূর্ন করেছিলেন সেদিন হনুমানজী তার এই গরীমা সিদ্ধি প্রয়োগে।
লঘিমা : এই সিদ্ধি উপরের গরীমা সিদ্ধির একবারে বিপরীত সিদ্ধি। এতে সাধক তার শরীরের ওজন তার মনের ইচ্ছা অনুসারে লঘু অর্থাৎ কম করতে পারে। এবার প্রশ্ন হল কতটা কম করতে পারে। বলা হয় ময়ূরের একটি পালকের ওজনের থেকেও কম করতে পারে। এই লঘিমা সিদ্ধির প্রয়োগ হনুমানজী করেছিলেন অশোকাবাটিকাতে সীতা মাতা যখন রাক্ষসী ও রাবণ সেণার পরিবেষ্টিত ছিলেন তখন তিনি গাছের পাতায় বসে নিজের দেহের ওজন হাল্কা করে সেই জায়গার নিরীক্ষণ করে ছিলেন।
প্রাপ্তি : এই সিদ্ধি লাভে সাধক ভবিষ্যত দ্রষ্টা হতে পারেন এবং পশু পাখি জীব জন্তুর ভাষা বোঝার ক্ষমতা লাভ করে। হনুমানজী রাবণ দ্বারা সীতা হরণের পর সীতা মাতার খোঁজ করতে গিয়ে অনেক পশু পাখি ও জীব জন্তুর কাছে সীতা মাতার খোঁজ করেন।
প্রাকাম্য : অষ্ট সিদ্ধির মধ্যে ষষ্ঠ সিদ্ধি হল প্রাকাম্য। এই সিদ্ধি বলে সাধক যেকোন জায়গায় যাবার ক্ষমতা লাভ করে। এর প্রভাবে সাধক আকাশে উড়তে পারে, পাতালের কেন্দ্রে পর্যন্ত যেতে পারে। জলে জীবিত থাকতে পারে, সাধক চিরকাল যুবক থাকতে পারে এবং যেকোন দেহ ধারন করতে পারে। সাধকের লক্ষ্য পূরণ হয়। হনুমানজীর এই সিদ্ধির প্রভাব আমরা রামায়নে দেখতে পাই এবং এর প্রভাবেই হনুমানজী চীরকাল যুবক থাকবেন।
ঈশিত্ব : এই সিদ্ধি হল নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা। যে সাধক এই সিদ্ধি লাভ করেন তিনি দক্ষ নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা পায়। হনুমানজীও এই সিদ্ধির কার্যকরীতায় বানর সেনাকে সঠিক নেতৃত্ব দান করেন এবং শ্রীরাম চন্দ্রের জয় সুনিশ্চিত করেন। এছাড়াও এই সিদ্ধি প্রাপ্ত হওয়াতে সাধক কোন মৃত জীবের প্রান ফেরত দিতে পারে।
বশিত্ব : এই সিদ্ধি লাভে সাধক জিতেন্দ্রিয় হয়। অর্থাৎ সাধক তার ইন্দ্রের ওপর নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে পারে। সাধক পশু পাখি এমনকি মানুষেকে নিজের বশে আনতে পারে।
বলা হয়ে থাকে যেকোন সাধক এই সিদ্ধি লাভের জন্য যুগ যুগ তপস্বা করে তবে এই সিদ্ধি লাভ করে তবে একজন সাধক হন। কিন্তু যিনি হনুমানজীর নিষ্ঠা সহকারে আরাধনা করেন তাঁরাও এই অষ্ট সিদ্ধি লাভ করতে পারেন কারন হনুমানজী হলেন এই অষ্ট সিদ্ধির দাতা।
গরীমা : গরীমা সিদ্ধির প্রয়োগে সাধক তার তার নিজের ইচ্ছা অনুসারে দেহের ওজন বাড়াতে পারে। হনুমানজীর এই সিদ্ধির প্রয়োগ আমরা মহাভারতে দেখতে পাই। তিনি ভীমের অহম চূর্ণ করবার জন্য এই সিদ্ধির প্রয়োগ করেছিলেন। ভীম তার শরীরের শক্তি নিয়ে ছিলেন আত্মঅহংকারী। তিনি মনে করতেন তার মত বল শালী আর কেও নেই। একবার হনুমানজী ভীমের রাস্তায় বৃদ্ধ বানর সেজে তার ল্যাজ ছড়িয়ে শুয়ে ছিলেন। ভীম রাস্তায় পড়ে থাকা ল্যাজ বৃদ্ধ বানরকে সরাতে বলেন। বানর উওর করেন যে তিনি বার্ধক্যের কারনে তার ল্যাজ সরাতে অক্ষম। তিনি যাতে নিজেই ল্যাজ সরিয়ে রাস্তা করে নেন। অসীম শক্তিশালী ভীম কিন্তু সেই ল্যাজ সরাতে অক্ষম হয়েছিল অত্যন্ত ভাড়ের কারনে। ভীমের দর্প চূর্ন করেছিলেন সেদিন হনুমানজী তার এই গরীমা সিদ্ধি প্রয়োগে।
লঘিমা : এই সিদ্ধি উপরের গরীমা সিদ্ধির একবারে বিপরীত সিদ্ধি। এতে সাধক তার শরীরের ওজন তার মনের ইচ্ছা অনুসারে লঘু অর্থাৎ কম করতে পারে। এবার প্রশ্ন হল কতটা কম করতে পারে। বলা হয় ময়ূরের একটি পালকের ওজনের থেকেও কম করতে পারে। এই লঘিমা সিদ্ধির প্রয়োগ হনুমানজী করেছিলেন অশোকাবাটিকাতে সীতা মাতা যখন রাক্ষসী ও রাবণ সেণার পরিবেষ্টিত ছিলেন তখন তিনি গাছের পাতায় বসে নিজের দেহের ওজন হাল্কা করে সেই জায়গার নিরীক্ষণ করে ছিলেন।
প্রাপ্তি : এই সিদ্ধি লাভে সাধক ভবিষ্যত দ্রষ্টা হতে পারেন এবং পশু পাখি জীব জন্তুর ভাষা বোঝার ক্ষমতা লাভ করে। হনুমানজী রাবণ দ্বারা সীতা হরণের পর সীতা মাতার খোঁজ করতে গিয়ে অনেক পশু পাখি ও জীব জন্তুর কাছে সীতা মাতার খোঁজ করেন।
প্রাকাম্য : অষ্ট সিদ্ধির মধ্যে ষষ্ঠ সিদ্ধি হল প্রাকাম্য। এই সিদ্ধি বলে সাধক যেকোন জায়গায় যাবার ক্ষমতা লাভ করে। এর প্রভাবে সাধক আকাশে উড়তে পারে, পাতালের কেন্দ্রে পর্যন্ত যেতে পারে। জলে জীবিত থাকতে পারে, সাধক চিরকাল যুবক থাকতে পারে এবং যেকোন দেহ ধারন করতে পারে। সাধকের লক্ষ্য পূরণ হয়। হনুমানজীর এই সিদ্ধির প্রভাব আমরা রামায়নে দেখতে পাই এবং এর প্রভাবেই হনুমানজী চীরকাল যুবক থাকবেন।
ঈশিত্ব : এই সিদ্ধি হল নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা। যে সাধক এই সিদ্ধি লাভ করেন তিনি দক্ষ নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা পায়। হনুমানজীও এই সিদ্ধির কার্যকরীতায় বানর সেনাকে সঠিক নেতৃত্ব দান করেন এবং শ্রীরাম চন্দ্রের জয় সুনিশ্চিত করেন। এছাড়াও এই সিদ্ধি প্রাপ্ত হওয়াতে সাধক কোন মৃত জীবের প্রান ফেরত দিতে পারে।
বশিত্ব : এই সিদ্ধি লাভে সাধক জিতেন্দ্রিয় হয়। অর্থাৎ সাধক তার ইন্দ্রের ওপর নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে পারে। সাধক পশু পাখি এমনকি মানুষেকে নিজের বশে আনতে পারে।
বলা হয়ে থাকে যেকোন সাধক এই সিদ্ধি লাভের জন্য যুগ যুগ তপস্বা করে তবে এই সিদ্ধি লাভ করে তবে একজন সাধক হন। কিন্তু যিনি হনুমানজীর নিষ্ঠা সহকারে আরাধনা করেন তাঁরাও এই অষ্ট সিদ্ধি লাভ করতে পারেন কারন হনুমানজী হলেন এই অষ্ট সিদ্ধির দাতা।