Read Hanuman Chalisa to remove Shani effect / Story of Lord Hanuman And Shani Dev – হনুমানজী ও শনিদেবের গল্প।
Hanuman and Shani Dev Story |
শনিদেবের বক্র দৃষ্টি থেকে বাঁচতে বা শনির Sade Sati থেকে বাঁচতে Hanuman Chalisa পাঠের কোন বিকল্প নেই। বলা হয় যে হনুমান ভক্তদের শনিদেবের প্রকোপ ধারে কাছেও আসতে পারে না। কেউ নিয়মিত হনুমান চালিসা পাঠে শনির দৃষ্টি কাটাতে সক্ষম হয়। কিন্তু আপনি জানেন কি কেন Shani র Sade Sati কাটাতে হনুমান Chalisa পাঠ করতে বলা হয়? হনুমানজী ও শনিদেবের গল্পটি কি? কেন হনুমানজীর ভক্তদের শনিদেবের বক্র দৃষ্টি পড়ে না?
এবার একটু জেনে নি শনিদেবে কে জেনে নি। শনিদেব হলেন ন্যায়ের দেবতা। তিনি সূর্যদেব ও ছায়াদেবীর পু্ত্র। এই জন্য তাকে ছায়াপুত্র বলা হয়। তিনি ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিবের অংশ।শনিদেবকে অনেকে দুর্ভাগ্যের অশুভ বাহক হিসেবে বিবেচিত করে থাকেন । কিন্তু তা প্রকৃতপক্ষে সত্য নয়। শনি ভালোর জন্য ভালো আর খারাপের জন্য খারাপ। তিনি অত্যন্ত ধৈর্যশীল এক দেবতা। ওনাকে কর্মফল দিতে গিয়ে তিনি অনেকের রোষানলে পড়তে হলেও তিনি কখনোই সত্যের পথ থেকে তিনি বিচ্যুত হননি। ।
এবার জেনে নেওয়া যাক শনির সাড়ে সাতি কি? What is Sade Santi ? সাড়ে সাতির অর্থ হল সাড়ে সাত বছর। অর্থাৎ শনি দেবের বক্র দৃষ্টি যার উপরে পরে তার এই দশা চলে। এই দশায় সেই ব্যাক্তিকে অনেক দুঃখ কষ্টের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এই দশাকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথম আড়াই বছর শনিদেব তার মস্তকে অবস্থান করে তার বুদ্ধি বিচলিত করেন। পরের আড়াই বছর তিনি ঐ ব্যক্তির বক্ষে অবস্থান করে তাঁর শরীর অসুস্থ রাখেন। পরের আড়াই বছর তিনি পায়ে অবস্থান করে তাকে দিক ভ্রষ্ট করেন। একথা বলে রাখা দরকার শনিদেব কিন্তু কোন দিনই কোন ভাল মানুষের ওপর কুদৃষ্টি দেন না।
শনির প্রকোপ থেকে বাঁচতে প্রতি শনিবার হনুমানজীর পূজা এবং Hanuman Chalisa পাঠ করতে বলা হয়। বলা হয় হনুমান ভক্তদের শনিদেব কোন ক্ষতি করেন না। এর কারন হিসাবে হনুমানজী ও শনিদেবের তিনটি আলাদা আলাদা গল্পকথন প্রচলিত আছে।
এবার একটু জেনে নি শনিদেবে কে জেনে নি। শনিদেব হলেন ন্যায়ের দেবতা। তিনি সূর্যদেব ও ছায়াদেবীর পু্ত্র। এই জন্য তাকে ছায়াপুত্র বলা হয়। তিনি ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিবের অংশ।শনিদেবকে অনেকে দুর্ভাগ্যের অশুভ বাহক হিসেবে বিবেচিত করে থাকেন । কিন্তু তা প্রকৃতপক্ষে সত্য নয়। শনি ভালোর জন্য ভালো আর খারাপের জন্য খারাপ। তিনি অত্যন্ত ধৈর্যশীল এক দেবতা। ওনাকে কর্মফল দিতে গিয়ে তিনি অনেকের রোষানলে পড়তে হলেও তিনি কখনোই সত্যের পথ থেকে তিনি বিচ্যুত হননি। ।
এবার জেনে নেওয়া যাক শনির সাড়ে সাতি কি? What is Sade Santi ? সাড়ে সাতির অর্থ হল সাড়ে সাত বছর। অর্থাৎ শনি দেবের বক্র দৃষ্টি যার উপরে পরে তার এই দশা চলে। এই দশায় সেই ব্যাক্তিকে অনেক দুঃখ কষ্টের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এই দশাকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথম আড়াই বছর শনিদেব তার মস্তকে অবস্থান করে তার বুদ্ধি বিচলিত করেন। পরের আড়াই বছর তিনি ঐ ব্যক্তির বক্ষে অবস্থান করে তাঁর শরীর অসুস্থ রাখেন। পরের আড়াই বছর তিনি পায়ে অবস্থান করে তাকে দিক ভ্রষ্ট করেন। একথা বলে রাখা দরকার শনিদেব কিন্তু কোন দিনই কোন ভাল মানুষের ওপর কুদৃষ্টি দেন না।
শনির প্রকোপ থেকে বাঁচতে প্রতি শনিবার হনুমানজীর পূজা এবং Hanuman Chalisa পাঠ করতে বলা হয়। বলা হয় হনুমান ভক্তদের শনিদেব কোন ক্ষতি করেন না। এর কারন হিসাবে হনুমানজী ও শনিদেবের তিনটি আলাদা আলাদা গল্পকথন প্রচলিত আছে।
Story of Lord Hanuman and Shani Dev :
প্রথম গল্পকথা : একবার কলিযুগে হনুমানজী শ্রীরামের ধ্যান করছিলেন। সেই সময় শনিদেব এসে তাকে হুমকির সুরে সাবধান করে বলেন যে যেই সময় থেকে শ্রীকৃষ্ণ তার লীলা সমাপন করেছেন সেই সময় থেকে কলীযুগের আরম্ভ হয়েছে। এই কলীযুগে যেই থাকবে তার ওপর আমার সাড়ে সাতির দশা পড়তে বাধ্য। তাই আমার সাড়ে সাতির দশা আপনার ওপরেও পড়তে চলেছে। এর উওরে হনুমানজী বলেছিলেন শ্রীরামের যারা ভক্ত তাদের ওপরতো কালের দশাও পড়ে না তাছাড়া আমার গোটা শরীরেতো শ্রীরামের বাস আপনি বসবেন কোথায়? এর থেকে ভাল আপনি অন্য কোথাও চলে যান। শনিদেব তখন বলেন আমি সৃষ্টি কর্তার বিধানে বাধ্য। আমি আপনার শরীরেও প্রবেশ করছি। হনুমানজী তখন বলেন ঠিক আছে চলে আসুন। এই বলাতে শনিদেব হনুমানজীর মস্তকে গিয়ে অবস্থান করল আর হনুমানজীর মাথায় তখন হঠাৎ চুলকোনি শুরু হল। হনুমানজী এক পাহাড় তুলে নিজের মাথায় রাখলেন। চাপা পড়ে শনিদেব হনুমানজীকে চিৎকার করে জিজ্ঞেস করলেন এ আপনি কি করছেন? হনুমানজী উওরে বললেন আপনি যেমন সৃষ্টি কর্তার বিধানে বাধ্য তেমনি আমিও আমার নিজের স্বভাবে বাধ্য। আমি আমার মাথার চুলকানি এভাবেই মেটাই। এই বলে তিনি আবার একটি পাহাড় তার মাথায় রাখলেন। শনিদেব আরও চাপা পড়ে বললেন আমাকে নিচে নামতে দিন আমি আপনার সঙ্গে সন্ধি করতে রাজি আছি। হনুমানজী কোন কথা না শুনে তৃতীয় পর্বত তার মাথায় তুলে নেন। শনিদেব আরও চিৎকার করতে করতে থাকে বলে আমাকে মুক্ত কর পবন পুএ আমি কখনও তোমার আশেপাশেও আসবো না। হনুমানজী এই বার চতুর্থ পর্বত তার মাথায় তুলতে ওষ্ঠাগত প্রান নিয়ে শনিদেব চিৎকার করতে থাকেন আমার ভুল হয়ে গেছে রামভক্ত হনুমান। আমি আপনি কেন আপনার কোন ভক্তের ধারেকাছে আমি যাব না কথা দিচ্ছি। এই কথা শোনার পর হনুমানজী পাহাড় নামিয়ে শনিদেবকে মুক্তি দেন।
দ্বিতীয় গল্পকথা : একবার হনুমানজী শ্রীরামের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সেই রাস্তা দিয়ে শনিদেব যাচ্ছিলেন। শনিদেবের একটু দুষ্টু বুদ্ধি চাপে। তিনি হনুমানজীকে বিরক্ত করতে লাগলেন। হনুমানজী তাকে বিরক্ত না করে শনিদেবকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। কিন্তু শনিদেব তা শুনে তাকে বিরক্ত করতেই থাকে। এরপর হনুমানজী তাকে তার ল্যাজ লম্বা করে ল্যাজের সঙ্গে বেঁধে আবার নিজের কাজে মগ্ন হয়ে পরেন আর শনিদেবের কথা ভুলে যান। এই সময় হনুমানজীকে তার কাজ করবার হেতু এদিক ওদিক উড়ে যেতে হয় এবং ল্যাজে বাঁধা শনিদেবকেও নিজের অজ্ঞাতেই নিয়ে যান। এই সময় শনিদেবের অনেক চোট আঘাত লেগেছিল। হনুমানজী তার কার্য শেষ করার পর শনিদেবের কথা মনে পড়ে। তখন হনুমানজী শনিদেবকে মুক্ত করেন। শনিদেব তার ভুল বুঝতে পারেন এবং কথা দেন যে তিনি কখনও রামজী আর হনুমানজীর কার্যে বাধার সৃষ্টি করবে না। আর তিনি এও বলেন রামজী ও হনুমানজীর ভক্তদের ওপর তার বিশেষ আশীর্বাদ থাকবে। এই ঘটনায় শনিদেবের অনেক চোট লেগেছিল। তিনি হনুমানজীর কাছ থেকে সর্ষের তেল চান। হনুমানজী তাকে সরর্ষের তেল দেন এবং তা মেখে শনিদেব সুস্থ হন। শনিদেব বলেন যে ব্যক্তি শনিবার তাঁকে সর্ষের তেল অর্পিত করবেন তিনি তাকে বিশেষ আশীর্বাদ দেবেন।
তৃতীয় গল্প : এই গল্পটি উপরের দুটি গল্প থেকে আলাদা। রাবন পুত্র মেঘনাথ যখন জন্ম গ্রন্থন করেন তখন আকাশে শনিদেবের খুব প্রভাব চলছিল। শনিগ্রহের এই প্রভাবে মেঘনাথর আর অমরত্ব পাওয়া হয় নি। এই ঘটনায় রাবন খুব রেগে যান। রাবন ছিলেন অনেক বড় যোগী। যোগ বলে তিনি শনিদেবকে আটক করে রেখেছিলেন লঙ্কাতে। হনুমানজী যখন রামজীর দেওয়া আংটি সীতা মাতাকে পৌঁছে দিতে লঙ্কা পৌছন তখন দেখেন শনিদেব আটক রয়েছেন। উনি সব কথা শোনেন এবং শনিদেবকে সেখানে থেকে মুক্ত করেন। শনিদেব কথা দেন তিনি রামচন্দ্র ও হনুমানজীর ভক্তদের বিশেষ আশীর্বাদ অর্পন করবেন।
এই ব্লগের অন্য সব গুরুত্বপূর্ণ Post গুলি :
1.Hanuman Chalisa পাঠের সময় এই ভুল গুলি করছেন নাতো? – Click Here.
দ্বিতীয় গল্পকথা : একবার হনুমানজী শ্রীরামের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সেই রাস্তা দিয়ে শনিদেব যাচ্ছিলেন। শনিদেবের একটু দুষ্টু বুদ্ধি চাপে। তিনি হনুমানজীকে বিরক্ত করতে লাগলেন। হনুমানজী তাকে বিরক্ত না করে শনিদেবকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। কিন্তু শনিদেব তা শুনে তাকে বিরক্ত করতেই থাকে। এরপর হনুমানজী তাকে তার ল্যাজ লম্বা করে ল্যাজের সঙ্গে বেঁধে আবার নিজের কাজে মগ্ন হয়ে পরেন আর শনিদেবের কথা ভুলে যান। এই সময় হনুমানজীকে তার কাজ করবার হেতু এদিক ওদিক উড়ে যেতে হয় এবং ল্যাজে বাঁধা শনিদেবকেও নিজের অজ্ঞাতেই নিয়ে যান। এই সময় শনিদেবের অনেক চোট আঘাত লেগেছিল। হনুমানজী তার কার্য শেষ করার পর শনিদেবের কথা মনে পড়ে। তখন হনুমানজী শনিদেবকে মুক্ত করেন। শনিদেব তার ভুল বুঝতে পারেন এবং কথা দেন যে তিনি কখনও রামজী আর হনুমানজীর কার্যে বাধার সৃষ্টি করবে না। আর তিনি এও বলেন রামজী ও হনুমানজীর ভক্তদের ওপর তার বিশেষ আশীর্বাদ থাকবে। এই ঘটনায় শনিদেবের অনেক চোট লেগেছিল। তিনি হনুমানজীর কাছ থেকে সর্ষের তেল চান। হনুমানজী তাকে সরর্ষের তেল দেন এবং তা মেখে শনিদেব সুস্থ হন। শনিদেব বলেন যে ব্যক্তি শনিবার তাঁকে সর্ষের তেল অর্পিত করবেন তিনি তাকে বিশেষ আশীর্বাদ দেবেন।
তৃতীয় গল্প : এই গল্পটি উপরের দুটি গল্প থেকে আলাদা। রাবন পুত্র মেঘনাথ যখন জন্ম গ্রন্থন করেন তখন আকাশে শনিদেবের খুব প্রভাব চলছিল। শনিগ্রহের এই প্রভাবে মেঘনাথর আর অমরত্ব পাওয়া হয় নি। এই ঘটনায় রাবন খুব রেগে যান। রাবন ছিলেন অনেক বড় যোগী। যোগ বলে তিনি শনিদেবকে আটক করে রেখেছিলেন লঙ্কাতে। হনুমানজী যখন রামজীর দেওয়া আংটি সীতা মাতাকে পৌঁছে দিতে লঙ্কা পৌছন তখন দেখেন শনিদেব আটক রয়েছেন। উনি সব কথা শোনেন এবং শনিদেবকে সেখানে থেকে মুক্ত করেন। শনিদেব কথা দেন তিনি রামচন্দ্র ও হনুমানজীর ভক্তদের বিশেষ আশীর্বাদ অর্পন করবেন।
এই ব্লগের অন্য সব গুরুত্বপূর্ণ Post গুলি :
1.Hanuman Chalisa পাঠের সময় এই ভুল গুলি করছেন নাতো? – Click Here.
3.এই গোপন হনুমান মন্ত্র পাঠ করলে রোগ মুক্তি হবেই – Secret Hanuman Mantra to Cure Disease. – Click Here.
3.Science Behind Hanuman Chalisa – বিজ্ঞান ও হনুমান চালিসা – Click Here.
4.Hanuman Chalisa in Bengali with Meaning – অর্থসহ বাংলা হনুমান চালিসা – Click Here.
Tag : Story of Hanuman ji and Shani Dev; Shani dev and Hanuman katha; Read Hanuman Chalisa to remove Shani effect ; Story of Lord Hanuman And Shani Dev.