এবার এই Neanderthal – দের কিছু বৈশিষ্ট্য শোনা যাক। Neanderthal মানব মূলত পাওয়া যেত ইউরোপ, আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়াতে চল্লিশ হাজার থেকে পাঁচ লক্ষ বছর আগে। এদের মুখের আকৃতি ছিল অনেকটা বাঁদরের মত। তাদের শারীরিক গঠন অনেকটাই Homosepiance দের মত ছিল। কিন্তু শারীরিক ভাবে তারা Homosepians দের থেকে অনেক শক্তিশালী ছিল। তারা গুহায় বসবাস করত। এরা Homosepians দের মতই দলবদ্ধ ভাবে থাকত। গবেষণায় আরও জানা গেছে তারা কথাও বলতে পারত এবং এরা homosepians দের সঙ্গে সহবস্থান করত এবং Neanderthal এবং Homosepians একসঙ্গে প্রজননও [ Breeding ] করত। প্রত্নতত্ত্ববিদের মতে Neanderthal মস্তিষ্কের যে আকারটি পাওয়া যায় তাতে বোঝা যায় Neanderthal – রা সম্ভবত বুদ্ধিমান ছিলেন।
Homosapians and Neanderthal |
Atribution :https://creativecommons.org/licenses/by-sa/4.0/deed.en.
এবার রামায়নে বানর কুলের যে বর্ননা পাওয়া যায় তার সঙ্গে Neanderthal মানবের সঙ্গে অনেক মিল পাওয়া যায়। রামায়নে বর্নিত বানর কুল গুহায় বসবাস করত। রামায়নে দেখান হয়েছে যে বানর কুল সাধারণ মানুষের মতই দলবদ্ধ ভাবে বসবাস করত অর্থাৎ Neanderthal মানবের বৈশিষ্ট্য এখানে পাওয়া যায়। বলা হয়েছে বানর কুল অবস্থান করত গোটা বিশ্বজুড়ে কিন্তু মূল অবস্থান ছিল কিসকিন্দাতে যা এখন কর্নাটকের হাম্পিতে। ভারতের দক্ষিণ ভারতে এদের আধিপত্য ছিল। বাল্মীকি রামায়নে বলা হয়েছে যে লঙ্কা যুদ্ধের সময় বানর কুল এসেছিল অনেক দূর দূর থেকে যেমন হিমালয়, বিন্ধ,তিব্বত প্রভৃতি অঞ্চল থেকে। অর্থাৎ এটাই প্রমান হয় যে এই বানর কুল ভারতে দক্ষিণ ভারতে বেশি দেখা গেলেও এরা অবস্থান করত Neanderthal এর মতই গোটা পৃথিবী জুড়ে ছিল। রামায়নে সুগ্রীব ও বালীকে যদি দেখি তাহলে দেখব তাদের শারীরিক গঠন বানরের মত কিন্তু তাদের স্ত্রীরা ছিলেন সাধারণ মানুষ। অর্থাৎ Homosepians আর Neanderthal মানব প্রজনন তত্ত্বটি এখানে প্রমানিত হয়। এখনও আমাদের বতর্মান মানুষের DNA তে Neanderthal এর বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ বালী ও সুগ্রীব Neanderthal মানব ছিলেন আর তাদের স্ত্রীরা ছিলেন Homosapians । হনুমানজী সম্পর্কে বলা হয়েছে তিনি অনেক বিদ্যান ছিলেন। চার বেদের জ্ঞান তার ছিল। কিসকিন্দায় লক্ষনের কাছ থেকে শুনে রামজী হনুমানজী সম্পর্কে বলেছিলেন “এ জাতীয় কথা কেবল সেই ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব যিনি বেদে পুরোপুরি দক্ষ, যিনি নিখুঁত ব্যাকরণবিদ এবং সামাজিক ও নৈতিক বিজ্ঞানে গভীরভাবে জ্ঞান অর্জন করেছেন।” একজন বাঁদরের এত জ্ঞান কি করে থাকতে পারে? অর্থাৎ হনুমানজী বাঁদর প্রজাতির কোন পশু ছিলেন না।
এবার হয়ত আপনি অনুধাবন করতে পারছেন যে হনুমানজী বা রামায়নে বর্ণিত সকল বানরকুল কেউই বাঁদর বা Monkey প্রজাতির কোন বন্য পশু ছিলেন না। তারা প্রকৃতপক্ষে ছিলেন Neanderthal মানব। রামায়নে রাম রাবণের যুদ্ধ আসলে Neanderthal এবং Homosepians এর মধ্যে যুদ্ধ। আমরা আমাদের অজ্ঞাততার কারনে হনুমানজীকে বাঁদর মনে করতাম। ভগবান হনুমানজী কোন ভাবেই Monkey ছিলেন না।