Powerful Hanuman Mantras For Getting A Job
অনেক ভাই বোনেরা বর্তমান সময় দিন রাত এক করে পড়াশুনা করছে ভাল সরকারি চাকরি পাবার আশায়। তাদের মধ্যে অনেকেই এই রকম রয়েছে হাজারো কঠোর পরিশ্রম করেও বছরের পর বছর সেই বিফলতাই সামনে আসে। অনেকেই হতাশা গ্রস্থ হয়ে হাল ছেড়ে দেয়। কিন্তু আপনারা যদি আপনাদের কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি এই হনুমান মন্ত্র পাঠ করেন এবং নীচে বলা সহজ কিছু বিধান মেনে চলেন তাহলে সরকারি চাকরি মিলতে পারে খুব তাড়াতাড়ি।
হনুমানজী হলেন এই কলীযুগের সবচেয়ে বেশি আরাধ্য দেবতা। শাস্ত্র মতে হনুমানজী হলেন আট চিরঞ্জীবির মধ্যে একজন এবং একমাত্র জীবিত দেবতা। তিনি ভক্তদের খুব অল্প ডাকেই সাড়া দেন। ভক্তদের যে কোন রকম সংকট থেকে মুক্ত করেন স্বয়ং হনুমানজী। তাইতো তাকে সংকট মোচন বলা হয়। হনুমানজীর পূজার আচারানুষ্ঠান খুবই সরল। তাই যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন সমস্যায় তার ভক্তরা বিভিন্ন কারনে তাকে স্মরণ করে সমস্যা থেকে মুক্ত হয়েছেন।বস্তুত হনুমানজীর অনেকগুলো মন্ত্র রয়েছে। তবে প্রতিটি মন্ত্রের আলাদা আলাদা ফল আছে। তাই যারা বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্ততি নিচ্ছেন তারা তাদের কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি নিম্নলিখিত হনুমান মন্ত্রটি নিয়মিত পাঠ করবেন :
ঔঁ শ্রী হনুমনতে নম:
মন্ত্র পাঠের বিধি :
প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার পাঁচ মিনিটের জন্য হলেও সময় করে হনুমান মন্দিরে যান। সেখানে গিয়ে এই মন্ত্র 11 বার জপ করুন এবং অন্যদিন গুলো প্রতিদিন স্নান করে হনুমানজীর পূজা সেড়ে হনুমানজীর ফটো বা মূর্তির সামনে বসে 11 বার এই মন্ত্র জপ করবেন।
আরও যে সব বিধি পালন করতে হবে :
1. আপনি পুরুষ হন বা মহিলা প্রতিদিন বাড়িতে হনুমান পূজা শুরু করুন। বাড়িতে কোন হনুমান ফটো স্থাপন করে প্রতিদিন স্নান সেরে হনুমানজীর পূজা করুন।
2. প্রতিদিন 7 বার বা 11 বার হনুমান চালিশা পাঠ করুন। সময়ের যদি কমতি থাকে তবে আপনি সংকল্প নিয়ে প্রথমে 21 দিন 7 বার বা 11 বার পাঠ করুন। 21 দিনের পর দিনে অন্তত একবার পাঠ করুন। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে পরিস্কার কাপড়ে হনুমান চালিশা পাঠ করবেন। পাঠ করবার সময় এক ঘটি জল হনুমানজীর ফটো বা মূর্তির সামনে রেখে পাঠ করতে ভুলবেন না।
3. প্রতি শনি মঙ্গলবার মন্দিরে গিয়ে হনুমানজীকে সিঁদুর অর্পন করবেন। আপনি যদি মহিলা হলে আপনি মন্দিরে উপস্থিত পুরোহিতের সাহায্য নিন।
4. প্রথমে একদিন আপনি 100 বার হনুমান চালিশা পাঠ দিয়ে আপনি আপনার হনুমান আরাধনা শুরু করুন। এটি করতে হয়ত আপনার 4 থেকে 5 ঘন্টা সময় একদিন ব্যয় করতে হবে।
এই মন্ত্র গুলো কিভাবে কাজ করে :
এই মন্ত্র কিভাবে কাজ করে তা ব্যাখ্যা করতে হলে এটি দুই ভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে। প্রথমত আধ্যাত্মিক ভাবে এবং দ্বিতীয়ত বৈজ্ঞানিক ভাবে।
প্রথমেই বলা যাক আধ্যাত্মিক ভাবে এই মন্ত্র গুলো কিভাবে কাজ করে? এই মন্ত্র পাঠে হনুমানজী খুব তাড়াতাড়ি প্রসন্ন হন। হনুমানজীকে প্রসন্ন করা ভক্তদের কাছে খুবই সহজ। ভক্তরা যেকোন সংকটে স্মরণ করলে উনি তার ভক্তদের উদ্ধার না করে থাকতে পারেন না। তাই পরিশ্রমী চাকুরী প্রর্থীরা যারা নিয়মিত এই মন্ত্র পাঠ করবেন এবং হনুমান চালিশা পড়বেন তিনি সফল অবশ্যই হবেন। একথা মনে রাখবেন ভগবান তাদেরই সাথ দেন যারা কর্ম করেন। বিনা কর্মে মন্ত্র যপের কোন ফল পাওয়া যায় না।
এবার আসাযাক এই মন্ত্রগুলি কিভাবে বৈজ্ঞানিক উপায়ে চাকুরী পেতে আপনাকে সাহায্য করে? যে কোন মন্ত্র রক্তচাপ, হার্ট স্পন্দনের হার, মস্তিষ্কের তরঙ্গ এবং অ্যাড্রেনালিন স্তর নিয়ন্ত্রণ করে। মনে রাখবেন, নিয়মিত ওষুধের মতোই নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট মন্ত্র রয়েছে।
আমাদের শরীরের ভেতরের সব তন্ত্র গুলি একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। হনুমান চালিশা মন্ত্র বা অন্য যে কোন মন্ত্র সঠিক ভাবে পাঠ করলে আমাদের মধ্যে একটি পজিটিভ এনার্জি তৈরি হয় যা আমাদের শরীরের ভেতরের যে জল রয়েছে তার আণবিক গঠনগুলি পরিবর্তন হয়। আমাদের শরীরের 79% কিন্তু জল। মনে রাখবেন আমাদের শরীরের যে কোন রোগ ব্যাধির কারনই হল আণবিক গঠনের অসংগঠিত ভাবে পরিবর্তন। এই মন্ত্র গুলি আজ থেকে কয়েকশো বছর বা কয়েক হাজার বছর পুরোনো হলেও এগুলোর ছন্দের গঠন এমন ভাবে তৈরি যা নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে আমাদের শরীরের আণবিক গঠন পরিবর্তন করতে সক্ষম। যা আপনার মানষিক জোর এবং একাগ্রতা বৃদ্ধি করবে যা পরীক্ষার অনুশীলনে খুব উপকারী ভূমিকা পালন করবে।
প্রত্যহ হনুমান চালিশা পাঠ করলে বা অন্য যে কোন মন্ত্র পাঠ করলে আমাদের ব্রেনের পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে কিছু রাসায়নিক নির্গত হয় যা আমাদের মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় আমাদের মনে সাহস আনে এবং আমরা যে কোন কাজে সফল হই।
হনুমানজী তার কৃপা যুগ যুগ ধরে তার ভক্তদের ওপর বর্ষিত করে আসছে। যুগ যুগ ধরে হাজারো ভক্তরা তার আরাধনা করে অনেক উপকার পেয়ে এসেছে। আপনিও মনে বিশ্বাস রাখুন হনুমানজী আপনার ওপর কৃপা করতে পিছ পা হবে না।