Want to Achieve Success in Life ???? Follow these 5 life lessons of Hanuman Ji to achieve your goal // 5 tips from Hanuman’s life to achieve a successful life
Life Lesson from Hanuman to Achieve Success |
Life এ Sucess সবাই achieve করতে চায়। কিন্তু আমাদের জীবনের কিছু ভুল কাজ আমাদের কাম্য সফলতা আমাদের থেকে অনেক দূরে রাখে। Hanuman জীর life থেকে এই 5টি lesson প্রাত্যহিক জীবনে প্রয়োগ করলে আপনার জীবনে success আসবেই। হনুমানজীর জীবন থেকে আমরা Leadership lesson, management lesson থেকে শুরু করে এমন সমস্ত কিছু শিক্ষা নিতে পারি যা আমাদের জীবনের প্রতিটি পদে পাথেয় হয়ে উঠতে পারে।
এখন প্রশ্ন হল কোন 5 life Lesson আমাদের Hanuman জীর Life থেকে নিজের জীবনে গ্রহন করতে হবে এবং আমাদের ভুল গুলি ঠিক কোথায়। নীচের লেখা গুলো পুরোটা পড়ুন এবং আসুন আমরা এক এক করে দেখে নি জীবনের সেই পাঁচ মূল মন্ত্র :
নিজের গুরুর প্রতি সম্মান করুন :
জীবনে সফল হবার প্রথম শর্ত হল আমাদের প্রত্যেকের নিজের গুরুর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। আপনি ছাত্র হোন বা কোন অফিসের কর্মচারী বা ব্যবসায়ী নিজের গুরুর প্রতি আমরা কেউই আন্তরিক ভাবে আর সম্মান করি না। সবটাই যেন যান্ত্রিক, সবটাই যেন লোক দেখান। আমরা যেটা করি সেটা হল শুধুমাত্র পদলেহন। পদলেহন আর সম্মান এক নয়। আমাদের প্রত্যেকের তার নিজের গুরুর প্রতি সম্মান করতে হবে ঠিক যেমন হনুমানজী তার নিজের গুরু শ্রীরাম চন্দ্রের প্রতি করেছিলেন। ভগবান হনুমান কেবল তাঁর গুরু শ্রীরামের প্রতি শুধুমাত্র শ্রদ্ধাশীল ছিলেন না, তিনি তার সমস্ত নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতেন। তিনি তার প্রভুকে অত্যন্ত ভালবাসতেন এবং তাঁর প্রতি তাঁর এতটাই আস্থাভাজন ছিল যে তিনি তার পক্ষে সব কিছু করতে পারেন। তিনি তার প্রভু শ্রীরামের কথায় অনুপ্রাণিত হন এবং সর্বদা সুযোগের অপেক্ষায় থাকতেন যে কীভাবে তিনি তার সেবা করতে পারেন। তার জন্য তিনি সমস্ত রকম বাধার সম্মুখীন হতে প্রস্তত ছিলেন এমনকি নিজের প্রানের মায়া পযন্ত তিনি করেন নি।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হল আমরা কি বর্তমান যুগে আমরা আমাদের নিজের গুরুর প্রতি আন্তরিক ভাবে সম্মান প্রদর্শন করি? এর এক কথায় উওর হল ‘না’। আমরা এখন খুবই যান্ত্রিক হয়ে পড়েছি। ছাত্রদের কাছে শিক্ষকরা, কর্মচারিদের কাছে তার কর্মকর্তা বা ব্যবসায়ীদের কাছে তার মহাজন শুধুই মাত্র একজন বেতনভুক্ত কর্মচারী বা ব্যবসায়িক। এখন প্রশ্ন হল আমরা কর্মচারিগণ যারা যে স্তরেই কাজ করি না কেন, আমরা কি আমাদের গুরুর প্রতি শ্রদ্ধার এই গুণটি দেখতে পাচ্ছি? এবারের উত্তরও হল ‘না’। তবে এই ব্যপারে সহমত পোষন করি যে শ্রীরামের গুণাবলী সহ আমাদের অনেক নেতা বা গুরু বা পরিচালক নেই বললেই চলে তবে এটিও সমান সত্য যে আজকের কর্পোরেট দুনিয়া বলুন বা সরকারি কর্মচারী মহল বলুন বা ছাত্র সমাজ বলুন বা ব্যবসায়িক সমাজ বলুন হনুমানজীর মনোভাবা সম্পন্ন কোন কর্মচারীই নেই। আমরা সাধারণ কর্মচারিগণ কি হনুমানজীর মত কর্তব্যনিষ্ঠ? এক কথায় উওর হল না। আমরা কেউই নিজের নেতা বা পরিচালকদের প্রতি এবং নিজের নূন্যতম কর্তব্যের প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধাশীল নই। আমাদের প্রত্যেকের উচিত হনুমানজীর জীবন দর্শন অনুসরণ করা। আমাদের নিজের প্রভুর তথা গুরুর প্রতি এবং নিজের কর্তব্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত তাহলেই আমাদের অন্তর আত্মা সঠিকভাবে বিকশিত হবে।
দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি নিঃস্বার্থ ভাবে নিজেকে উতৎসর্গ করুন :
জীবনে সফল হবার প্রথম ও অন্যতম শর্ত হল কাজের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া এবং নিজ কর্তব্যের ওপর নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ। দায়িত্ব ও কর্তব্য এমন একটি জিনিস যা দেওয়া যায় না এটি স্বইচ্ছায় নিতে হয়।
হনুমানজী তার শ্রীরামচন্দ্রের পক্ষে নিঃস্বার্থভাবে তার সমস্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের জন্য নিজের সবকিছু উজাড় করে দিতেন। তিনি নিজের মঙ্গল, নিজের স্বার্থ সম্পর্কে ভুলে যেতেন এমনকি নিজের প্রানের মায়া পযর্ন্ত ত্যাগ করেছিলেন। তিনি কেবল তার প্রভু এবং তার সংস্থার উদ্দেশ্যে কী অবদান রাখতে পারেন তাতে আগ্রহী ছিলেন এবং নিজ দায়িত্ব পালনে সর্বশক্তি প্রয়োগ করতেন। রামায়নে আমরা দেখতে পেয়েছি লক্ষণের যখন প্রান সংকটে ছিল তখন শ্রীরামচন্দ্র হনুমানজীর ওপর দায়িত্ব দিয়েছিলেন সঞ্জীবুনী বুটি আনবার। হনুমানজী ঐ সঞ্জীবুনী বুটি ঠিক কি তা সঠিকভাবে জানতেন না। তবুও তার প্রভুর বিপদের কথা ভেবে বিদ্যুৎ বেগে ছুটে চললেন সঞ্জীবুটি আনতে। তিনি আমাদের মত শ্রীরামচন্দ্রকে এই রকম কোন প্রশ্নই করেন নি যে ” প্রভু আমি তো চিনি না কি করে আনব? আমিতো এই কাজ কোন দিন করি নি আপনি অন্য কাউকে পাঠান বা বারবার আমিই কেন দৌড়াব? বানর সেনাবাহিনীতেতো আরও অনেকেই রয়েছে।” তিনি কিন্তু তখন নিজের কথা বিন্দুমাত্র চিন্তা না করে চুটে চলে যান তার প্রভুর আদেশ পালন করতে। আপনাদের প্রায় সকলেরই জানা রয়েছে যে তিনি সঞ্জীবুনি বুটি চিনতে না পেরে গোটা পর্বত তুলে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি কিন্তু অত কষ্ট না করে খালি হাতেও ফিরে আসতে পারতেন। তিনি কিন্তু তা করেন নি। এমনকি রাম ভ্রতা লক্ষনের প্রান তার দক্ষতাতেই ফিরে আসার পরও তিনি কিন্তু শ্রীরামচন্দ্রের কাছ থেকে কিছুই পুরস্কার চাননি। এছাড়াও রামায়ণের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা দেখছি হনুমানজী তার দায়িত্ব কর্তব্য থেকে কোন দিন পালিয়ে যাননি। তিনি কত আর্থিকভাবে লাভবান হবেন এবং কী পদোন্নতি পাবেন সে নিয়ে তিনি বিন্দুমাত্র উদ্বিগ্ন ছিলেন না। তিনি তার প্রভুর লক্ষ্যে অবদান রাখার জন্য সবসময় তৈরি থাকতেন। তিনি সবসময় নিজের স্বার্থের তুলনায় তার সংগঠনের স্বার্থকে এগিয়ে রাখতেন।
সংগঠনের স্বার্থে নিজের প্রান দিতেও রাজি ছিলেন। কিন্তু আজকের প্রেক্ষাপটে আমাদের মত সাধারণ মানুষের কাছে এসব অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। হ্যাঁ এটিই কঠিন বাস্তব। আমরা সবাই দায়িত্ব কর্তব্য এড়িয়ে চলতে পটু হয়ে পড়েছি। আর সংগঠনের যে ব্যক্তি দায়িত্ব নিতে এগিয়ে আসেন তাকে আমরা বোকা বলে পরিগণিত করি। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি আমাদের সামনে পরিস্কার হয়ে যাবে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কথা ভাবুন। তারা কিন্তু কোনদিন তাদের কর্তব্য থেকে পিছিয়ে আসেন না। একবার ভাবুন তারা যদি আমাদের মত ভাবতেন তবে আমাদের কি অবস্থা হত ভাবতে পারছেন?
লক্ষ্য সবসময় বড় রাখুন ও নিজের অন্তরাত্মার ক্ষমতাকে চিনুন :
জীবনে সফল হতে লক্ষ্য সবসময়ের জন্য বড় রাখতে হয়। হনুমানজীর জীবন কাহিনী আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়ে গেছে। হনুমানজী শৈশবকালে সূর্যকে মধুর ফল ভেবে ভক্ষন করতে গেছিলেন। একথা সত্য যে তার কাছে দৈবিক শক্তি বর্তমান ছিল কিন্তু তিনি যে বয়সে এই অসাধ্য সাধন করতে গেছিলেন সেই বয়সে তিনি তার ক্ষমতা সম্পর্কে অজ্ঞাত ছিলেন। রামায়ণের আরও একটি কাহিনীতে হনুমানজীকে সীতামাতাকে উদ্ধারের জন্য বিশালাকার সমুদ্রকে পার করতে হত। এই সময় হনুমানজী নিজ কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়লে জামবুবান তাকে তার ক্ষমতা সম্পর্কে অবগত করেন এবং হনুমানজী আত্মবিশ্বাস ফিরে পান। হনুমানজী এক লাফে সেই বিশালাকার সমুদ্রটি পার করেন।
আমরা ব্যক্তিগত জীবনে নিজেদের পরিধিটা খুব ছোট করে দেখি। জীবনের বৃহত্তর লক্ষ্য চয়নে আমরা সর্বদাই ভীত সন্ত্রস্ত্র থাকি। তাই আমরা জীবনের লক্ষ্য প্রথমেই খুব ছোট করে ফেলি। আর ছোট লক্ষ্যের ফল আমরা সর্বদা ছোটই পাব এটাই ভবিতব্য। কিন্তু আপনিও যদি আপনার অন্তরাত্মার পরিচয় পান তবে আপনি দেখতে পাবেন যে আপনিও যথেষ্ট শক্তিশালী এক ব্যক্তি। আপনার ভেতরে যে ক্ষমতা রয়েছে তা দিয়ে আপনি আপনার মতে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন খুব সহজেই। তাই জীবনে বড় হতে গেলে জীবনে কিছু করে দেখাতে হলে অবশ্যই লক্ষ্য বড় রাখুন এবং নিজের অন্তর আত্মার ক্ষমতার ওপর ভরসা রাখুন। জিতবেন আপনিই।
পরিস্থিতির ওপর বিচার করে নিজেকে বদলান :
রামায়নে হনুমানজীর জীবন কাহিনী বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে পরিস্থিতির ওপর নিজের বদল না করে পরিস্থিতিকে বদলানোর চেষ্টা করাটা বোকামির কাজ। যেখানে পরিস্থিতি বদলানো সম্ভব নয় সেখানে নিজেকে বদলে নেওয়াটাই বুদ্ধিমত্তার কাজ। তাই বলে অন্যায়কে প্রশ্রয় দাওয়ার কথা বলা হচ্ছে না। রামায়নে দেখা গেছে হনুমানজী কখনও কোন কাজে অসফল হননি তার অন্যতম কারন তিনি সব পরিস্থিতিতে একই রকম আচরন করতেন না। সুরষা যখন তার পথ আটকায় তখন তিনি ইচ্ছে করলে তার সঙ্গে লড়াইয়ের রাস্তায় যেতে পারতেন। কিন্তু তিনি সময় অপচয় না করে তার সঙ্গে উপস্থিত বুদ্ধি মারফত পরাজিত করেন। তাই আপনাকেও জীবনে সফল হতে গেলে সবার আগে পরিস্থিতির সামনে হার না মেনে পরিস্থিতি মোতাবেক নিজেকে বদলান। দেখবেন জীবনে সফলতা আসতে বাধ্য।
জীবনে বিনয়ী ও শ্রদ্ধাশীল হন :
জীবনে সফল হতে গেলে সবার আগে আমাদের ওপরের প্রতি বিনয়ী ও অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। এই শিক্ষাও আমরা হনুমানজীর কাছ থেকে পেয়ে থাকি। হনুমানজী যখন লঙ্কায় ব্রহ্মাস্ত্র দ্বারা আক্রান্ত হন তখন তিনি ইচ্ছে করলেই সেই ব্রহ্মাস্ত্র প্রতিহত করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি কারন তিনি প্রভু ব্রহ্মাকে পরাস্ত করতে চাননি। ব্রহ্মাস্ত্র প্রতিহত করা মানে ব্রহ্মাকে অপমান করা তিনি মনে করেছিলেন। তিনি রাক্ষস রাজ রাবণের সঙ্গেও জোড় হাতে এবং নম্রভাবে বার্তালাপ করেছিলেন যেটি রাবণও লক্ষ্য করেছিলেন।
ঊর্গ স্বভাব এবং মনোভাব আমাদের উন্নতির পথে বাধা হয়ে আসতে পারে। আমরা অন্যের প্রতি সম্মান না করলে নিজেরাও সম্মান থেকে বঞ্চিত থেকে যাব। তাই জীবনে সফল হতে গেলে নম্র স্বাভাব, বিনয়ী ও অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এক অন্যতম শর্ত।
উপরে এক এক করে আমরা 5টি Hanuman জীর life lesson অতি সংক্ষিপ্তাকারে আলোচনা করলাম যা আমরাদের কাছে শিক্ষনীয় ও করনীয় । এই বিষয় গুলি জীবনে সফল হবার মূল মন্র। বলা যেতে পারে Hanuman quotes on life । উপরের লেখা গুলি যদি আপনার ভাল লেগে থাকে তাহলে Share করুন,আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তবে অবশ্যই আমাদের Comment করে জানান।