The Complete Bidhan of Bajrang Baan / How to Recite Bajrang Baan :
Jay Bajrang Bali |
বজরং বান পাঠের কথা আমারা অনেকেই হয়ত শুনেছি। যারা শোনেননি বা এর সম্বন্ধে বিশদে জানেন না তাদের উদ্দেশ্যে এই লেখা। হনুমানজী এই কলীযুগের সবচেয়ে জাগ্রত দেবতা। যিনি ভক্তদের অল্প ডাকেই সাড়া দেন। হনুমানজীর অনেক রুপের মধ্যে অন্যতম রুপ হল বজ্ররুপ। এই বজ্ররুপকে আরাধনার জন্য বজরং বানের পাঠ করা হয়। এর নামের মধ্যেই এর মাহাত্ম লুকিয়ে আছে। যেকোন মন্ত্র বা স্তোত্র -র পেছনে যদি ‘বাণ’ শব্দ আসে তাহলে বুঝে নিতে হবে এক আলাদাই মাহাত্ম রয়েছে।
When should Bajrang Bana be read?
হনুমানজীর আরাধনার সবচেয়ে জনপ্রিয় পাঠ হল হনুমান চালিসা পাঠ। বলা হয় যারা নিয়মিত হনুমান চালিসা পাঠ করেন বিপদ তাদের ধারে কাছও আসতে পারে না। যদি কোন বড় বিপদও আসে তখনও এক শত বার হনুমান চালিসা পাঠ করার নিধান রয়েছে। তাহলে এই বজরং বানের পাঠ কেন? এর পাঠ সব সময় করা একদমই উচিত নয়। যখন বিপদ চারিদিক থেকে আপনাকে ঘিরে ফেলেছে আপনি কোন উপায়ন্তর খুঁজে পাচ্ছেন না তখনই এক মাত্র এই হনুমান বান পাঠ করা উচিত। এটি ব্রহ্মাস্ত্রের মত কাজ করে যেকোন বড় সমস্যা সমাধানে। “হনুমত রত্নাবলী” এর পুরো বিধি বলা রয়েছে কারা কোন পরিস্থিতিতে এটি পাঠ করবেন। এই বাণ পাঠ করলে বুঝবেন যে হনুমানজীকে শ্রীরামজীর দিব্বি দেওয়া হচ্ছে। যেই হনুমানজী রামজীর সেবায় তাঁর সর্বস্ব ত্যাগ করল তাকে শ্রীরামজীর দিব্বি দিয়ে আপনাকে বিপদ উদ্ধারের প্রার্থনা করা হয়। আপনাকে যদি বারবার আপনার বাবা মা -এর দিব্বি দেয় কও তার কার্য সিদ্ধির জন্য তাহলে নিশ্চয় আপনার ভাল লাগার কথা নয়। সুতরাং আপনি বুঝতে পারছেন যে যেকোন ছোট ছোট কারনে হনুমানজীর মত একজন রামভক্তকে রামজীর নামে দিব্বি দেওয়াটা কতটা ঠিক? একমাএ ভয়ঙ্কর বিপদেই এর পাঠ করা উচিত। এবার দেখে নেওয়া যাক কোন কোন পরিস্থিতিতে এই এর পাঠ করা উচিৎ :
- শত্রু ভয়।
- ব্যবসায় একদম ভরাডুবি।
- নিজের বা বাড়র কারও মারণ রোগ।
- সন্তান প্রাপ্তির জন্য যখন সমস্ত জায়গায় চেস্টা করেও হতাশ হয়েছেন।
- আপনি মন থেকে বিশ্বাস করছেন যে আপনি অনেক বড় বিপদে রয়েছেন যা থেকে আপনার উদ্ধার প্রায় অসম্ভব অথবা এমন কোন ঘটনা যা ঘটলে বা না ঘটলে আপনার ঘোর সঙ্কট আসতে পারে।
Complete Nidhan of Bajrang Baan :
বজরং বাণ পাঠের কোথাও কোন বিধানের কথা বলা নেই। আপনাকে অনেক কিছু বিধান বা পূজা পাঠের নিয়ম জানার খুব একটা দরকার নেই। কারন বজরং বাণের মধ্যেই একটি চৌপাই রয়েছে এই রকম : জপ তপ নেম অচারা। নেহি জানত হো দাসা তুমহারা।। অর্থাৎ জপ তপ বা কোন আচার আমি জানি না প্রভু। তবে কিছু মৌলিক নিয়ম অবশ্যই রয়েছে যা আপনাকে মেনে চলতে হবে।
- কোন মন্দিরে গিয়ে পাঠ করলে খুব ভাল হয়। যদি বাড়িতে পাঠ করতে চান তবে কোন দক্ষিণ মুখী হনুমানজীর মূর্তি বা ছবির সামনে পাঠ করবেন।
- অবশ্যই উচ্চারণ স্পষ্ট করতে হবে। যদি তাতে অসুবিধা হয় তবে শ্রবণ করুন। বাংলা হরফে বজরং বাণ পাঠ পড়তে এখানে Click করুন।
- আপনি অবশ্যই মনে মনে বিশ্বাস করবেন যে এই পাঠে আবনার সমস্ত বিপদ কেটে যাবে।
- খালি মাটিতে বসে বা মেঝেতে বসে পাঠ করবেন না। কুশ বা উলের আসনের ওপর বসে পাঠ করুন।
- যদি সম্ভব হয় তবে লাল বস্ত্র পরিধান করে পাঠ করতে বসুন।
- পাঠ করার আগে অবশ্যই রামজীর নাম পাঠ করুন। তারপর হনুমানজীর ধ্যান করুন।
- কখনও কারও ক্ষতির উদ্দেশ্যে এই পাঠ করবেন না। না হলে আপনার এমন ক্ষতি হয়ে যাবে যা আপনি পূরণ করতে পারবেন না।
- এই বাণ পাঠ মঙ্গলবার বা শনিবার শুরু করবেন।
- অবশ্যই আপনি যেদিন পাঠের অনুষ্ঠান করবেন সেই দিন নিরামিষ খাবার খাবেন। ব্রহ্মাচর্য পালন করবেন।
- যখনই আপনি পাঠ করবেন তখন প্রদীপ ও ধূপ জ্বালিয়ে নেবেন অবশ্যই। কারণ বজরং বাণের শেষ চৌপাইতে বলা রয়েছে – ধূপ দেয় অরু জপৈ হমেশা। তাঁকে তন নহি রহে কলেশা।।
- আপনি তিলের তেল বা যদি কোন শত্রুর হাত থেকে রক্ষা পেতে চান তো সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালাতে পারেন।
যেকোন বড় সমস্যা সমাধানে হনুমানজীর কৃপা পাওয়ার ব্রহ্মাস্ত্র হল বজরং বাণ পাঠ। তবে বিশেষ দরকারেই একে ব্যবহার করা উচিৎ। সব সময় নয়। তবে একথাও সত্য যে আপনি আপনার প্রয়োজনে যখন পাঠ করছেন তখন এ বিষয়ে ভয় পাবারও কারন নেই। মনে রাখবেন হনুমানজী ভক্তদের কষ্ঠে কোনদিন চুপ করে বসে থাকেন না। তাই নিষ্পাপ মনে আপনি ওনাকে ডাকুন আপনার কথাও উনি নিশ্চয় শুনবেন।