পাঁচটি সবচেয়ে শক্তিশালী হনুমান চালিশার চৌপাঈ // 5 Most Powerful Chaupaiya of Hanuman Chalisa
বজরংবলীকে প্রসন্ন করবার সবচেয়ে শক্তিশালী মন্ত্র হলো হনুমান চালিশা। আপনারা যারা বজরংবলীর ভক্ত তারা সকলেই জানেন হনুমান চালিশা কতটা শক্তিশালী। এই হনুমান চালিশা প্রতিটি চৌপাঈে রয়েছে অসীম শক্তি রয়েছে। হনুমান চালিশার প্রতিটি চৌপাঈেই রয়েছে কোনো না কোনো সঙ্কট থেকে উদ্ধারের রাস্তা। তবে হনুমান চল্লিশার চল্লিশটি চৌপাঈের মধ্যে পাঁচটি চৌপাঈ সবচেয়ে শক্তিশালী বলে মনে করা হয়। যদিও হনুমান চালিশার প্রতিদিন পূর্ণ পাঠ করতে বলা হয়। তবে বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনে এই পাঁচটি চৌপাঈ আমাদের সংকট থেকে উদ্ধার করে। যদি হঠাৎ করে কোন সঙ্কট এসে পরে তাহলে হনুমান চল্লিশার এই পাঁচটি চৌপাঈের পাঠ করে যেতে হয়। আজ আমরা এইখানে বলব কোন কোন সংকটে হনুমান চল্লিশার এই পাঁচটি বিশেষ চৌপাঈের পাঠ করতে হয় এবং কিভাবে আপনি সেই পাঠ করবেন।
হনুমান চল্লিশা পাঁচটি শক্তিশালী চৌপাই যার মধ্যে
প্রথম চৌপাটি :
বিদ্যাবান গুণী অতি চাতুর |
রাম কাজ করিবে কো আতুর ||
এর অর্থ হল আপনি বিদ্যাবান,আপনি অত্যন্ত গুণী এবং চতুর। আপনি শ্রীরামচন্দ্রের কার্য সম্পাদনের জন্য অর্থাৎ তারা নির্দেশ পালন করার জন্য সর্বদা তৎপর থাকেন।এখানে হনুমান চল্লিশা লেখক তুলসীদাস আপনি বলতে হনুমানজীকে বলেছেন। আপনি যদি বিদ্যাবুদ্ধি অর্থপ্রাপ্তি চান তাহলে হনুমান চল্লিশা চৌপাই প্রতিদিন সন্ধ্যায় শুদ্ধমনে হনুমানজির উপর পূর্ণ বিশ্বাস রেখে 108 বার পাঠ করবেন।পাঠ করবার পূর্বে শ্রী রামচন্দ্রের নাম নিতে ভুলবেন না।
দ্বিতীয় চৌপাঈ :
দুর্গম কাজ জগত কে জেতে |
সুগম অনুগ্রহ তুম্হরে তেতে ||
এর অর্থ হল সংসারের যত দুর্গম কাজ রয়েছে সবই আপনার কৃপায় সহজসাধ্য হয়।আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা হাজার চেষ্টা করেও বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন। যারা বহু চেষ্টা করার পরও সফলতা অধরাই থেকে যাচ্ছে,যাদের সবকিছু ঠিকঠাক থাকা সত্ত্বেও শেষ মুহূর্তে কাজ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে তারা সকাল-সন্ধ্যায় হনুমানজির ফটো সামনে বসে কিছুক্ষণ শ্রীরামচন্দ্র করুন এবং তারপর এই চৌপাটি 108 বার করে পাঠ করুন।এই চৌপাঈ পাঠর সময় অবশ্যই ধুপ প্রদীপ জ্বালিয়ে নেবেন।আপনি দেখবেন খুব তাড়াতাড়ি আপনি সফলতা আলো দেখতে পাচ্ছেন।
তৃতীয় চৌপাঈ :
নাশৈ রোগ হরৈ সব পীরা |
জপত নিরন্তর হনুমত বীরা ||
এর অর্থ হল নিরন্তর হনুমানজীর নাম জপ করলে সর্বপ্রকার রোগ পীরা বিনষ্ট হয়। যদি আপনি অসুস্থ থাকেন দীর্ঘদিন ধরে,যদি হাজার ডাক্তার দেখানোর পরও আপনার শরীর থেকে কোন রোগ ব্যাধি কিছুতেই পিছু না ছাড়ে,তাহলে আপনি প্রতিদিন সন্ধ্যায় যদি আপনার পক্ষে সম্ভব হয় তাহলে হনুমানজির ছবি সামনে বসে 108 বার এই মন্ত্র পাঠ করবেন এবং সারাদিন “জয় হনুমান” “জয় বজরংবলী” নিরন্তর পাঠ করে যাবেন।
যদি আপনার অসুস্থতা গুরুতর হয়,আপনি যদি বসে পাঠ করতে না পারেন তাহলে বিছানায় শুয়েই এই মন্ত্র 108 বার পাঠ করবেন এবং সারাদিন মনে মনে “জয় হনুমান” “জয় বজরংবলী” নিরন্তর পাঠ করে যাবেন।
যদি আপনি অন্য কারো জন্য পাঠ করতে চান অর্থাৎ আপনার বাড়িতে কেউ যদি গুরুতর অসুস্থ থাকেন তাহলে আপনি একটি ঘটে জল রেখে তার মধ্যে তুলসী পাতা দিয়ে হনুমানজির ফটো বা মূর্তির সামনে বসে প্রথমেই রামচন্দ্রের নাম নিয়ে একবার পুরো হনুমান চালিশা পাঠ করে এই চৌপাঈটি 108 বার করবেন। আপনি অবশ্যই ধুপ প্রদীপ জ্বালিয়ে নেবেন। আপনার পাঠ শেষ হলে ঘটের জল অসুস্থ ব্যক্তিকে খাওয়ান।
চতুর্থ চৌপাঈ :
ভূত পিশাচ নিকট নহি আবৈ |
মহবীর জব নাম সুনাবৈ ||
এর অর্থ হল মহাবীর হনুমানের নাম যেখানে উচ্চারিত হয় তার নিকট ভূত,পিশাচ এসব আসতে পারে না। যদি আপনি মনে করেন যে আপনার ওপর কোনো কালা জাদুর কাজ হয়েছে অথবা রাত্রে আপনার দুশ্চিন্তা এসে বারবার ঘুম ভেঙে যাচ্ছে তাহলে রাতে শোবার আগে এই চৌপাটি আপনি বিছানায় বসেই 108 বার পাঠ করবেন। হনুমান চালিশার কোন চটি বই বালিশের নিচে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়বেন।দেখবেন আপনার রাতে আর কোন খারাপ চিন্তা আসছে না।
পঞ্চম চৌপাঈ:
অষ্ঠসিদ্ধি নব নিধি কে দাতা |
অস বর দীন্হ জানকী মাতা ||
এর অর্থ হল সীতা মাতা আপনাকে প্রদান করেছেন যে আপনি অষ্টসিদ্ধি বরদান দিতে পারেন। আপনি যদি দীর্ঘদিন অর্থকষ্টে ভোগেন, আপনার যদি আর্থিক সংকট সারাবছর লেগেই থাকে অথবা আপনার অর্থ ব্যয় হয়ে যাচ্ছে কিছুতেই কিছু করতে পারছেন না তাহলে আপনি এই চৌপাঈটি প্রতিদিন সন্ধ্যায় বজরংবলীর পুজোর সময় 108 করে পাঠ করবেন।
হনুমান চালিশা হল এই পৃথিবীর সবচেয়ে কার্যকর একটি মন্ত্র। এর উপকারিতা এর প্রতিটি চৌপাঙ্গতে রয়েছে। তবুও এই ৪০ টি চৌপাঈের মধ্যে ৫টি চৌপাঈ হল সবচেয়ে শক্তিশালী।