Story behind Panchamukhi Hanuman / Benifits of Panchamukhi Hanuman / Panchamukhi Hanuman Puja Vidhi
Panchamukhi Hanuman |
মহেশ্বরের একাদশতম রুদ্র অবতার হনুমানজীর পঞ্চমুখী রুপের সঙ্গে পরিচিত আপনারা সবাই। হনুমানজীর এই রুপ আরাধনায় ফল মেলে অত্যন্ত দ্রুত। আপনি কি জানেন হনুমানজীর এই পঞ্চমুখী রুপ ধারনের পেছনের রহস্য? আসুন আজকে জেনে পঞ্চমুখী হনুমানের ইতি বৃত্যান্ত।
কেন হনুমানজীকে পঞ্চমুখী রুপ ধারন করতে হয়েছিল?
বজরংবলীর এই পাঁচ মুখ ধারনের পেছনে রামায়নের এক পৌরাণিক কথা রয়েছে। রাম – রাবণের যুদ্ধে রাবণ নিজের পরাজয় নিশ্চিত ভেবে নিজের ভাই পাতালরাজ অহিরাবণকে ডেকে পাঠাল। অহিরাবণ ছিলেন মা ভবানীর উপাসক ও মায়াবী শক্তিতে শক্তিশালী।
অহিরাবণ রাবণের কথামত সমস্ত বানর সেনাকে ময়াবী শক্তিবলে অজ্ঞান করে রাম ও লক্ষণকে অপহরণ করে নিয়ে পাতালে আটকে রাখেন। বানর সেনা সহ সবার যখন জ্ঞান ফেরে তখন বিভীষণ বিষয়টি অনুধাবন করেন যে এই কাজ অহিরাবণ ছাড়া আর কারও হতে পারে না। বিভীষণ হনুমানজীকে রাম ও লক্ষণকে অহিরাবণের পাতালপুরী থেকে মুক্ত করে আনতে বললেন।
বিভীষণের কথা মত হনুমানজী পৌছলেন পাতালে। সেখানে পাতাল দ্বারে তারই শরীরের ঘাম থেকে জন্মান পুত্র মকরধ্বজের কাছে বাধা পায় এবং দুপক্ষের মধ্যে প্রবল যুদ্ধ হয়। শেষে হনুমানজী মকরধ্বজকে তার ল্যাজে বেঁধে পাতালপুরীতে প্রবেশ করেন।
সেখানে রাম ও লক্ষনকে মুক্ত করতে গিয়ে দেখেন পাতালের পাঁচ কোনে পাঁচটি দীপ জ্বালান যা মা ভবানীর উদ্দেশ্যে অহিরাবন জ্বালিয়ে ছিল। সেই পাঁচ দীপ একসাথে নেভালে অহিরাবণের মৃত্যু ঘটবে। সেই পাঁচ কোনে পাঁচ দীপ নেভানোর জন্যই হনুমানজীর পঞ্চমুখ ধারণ করেন। হনুমানজী সেই পাঁচ দীপ নেভান তাতে অহিরাবণের মৃত্যু হয় এবং রাম – লক্ষণকে মুক্ত করে নিয়ে আসেন।
হনুমানজীর এই রুপের পেছনে আরও একটি পৌরাণিক কাহিনীও রয়েছে। একবার মারিয়াল নামক এক দৈত্য ভগবান বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। এই মারিয়াল দানব নিজের রুপ বদল করতে পারদর্শী ছিল। হনুমানজী সংকল্প করেন যে মারিয়ালকে হত্যা করে বিষ্ণু দেবের সুদর্শন চক্র ফিরিয়ে আনবেন।
পঞ্চমুখী হনুমান পূজার লাভ :
বলা হয় জীবনের যেকোন কষ্টের লাঘব করতে হনুমানজীর এই রুপের আরাধনা করা হয়। আপনার যে কোন বাধা বিপত্তিতে এই পঞ্চমুখী হনুমানীর আরাধনা খুবই ফলদায়ক।
হনুমানজীর এই রুপের পেছনে আরও একটি পৌরাণিক কাহিনীও রয়েছে। একবার মারিয়াল নামক এক দৈত্য ভগবান বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। এই মারিয়াল দানব নিজের রুপ বদল করতে পারদর্শী ছিল। হনুমানজী সংকল্প করেন যে মারিয়ালকে হত্যা করে বিষ্ণু দেবের সুদর্শন চক্র ফিরিয়ে আনবেন।
সেই মত বিষ্ণুদেব হনুমানজীকে বায়ু গমনের শক্তি স্বরুপ গঢ়ুর মুখ, ভয় প্রদানকারী নরসিংহ রুপ, জ্ঞানের জন্য হায়গ্রীভ মুখ এবং সুখ সম্বৃদ্ধির জন্য বরাহ মুখ আশীর্বাদ করেন। মাতা পার্বতী পার্বতী প্রদান করেন কমল পুষ্প ও যম ধর্মরাজ শীষ নামক অস্ত্র প্রদান করেন।
[আরও পডুন : 108 Names of Hanuman in Bengali / অর্থসহ হনুমানজীর 108 নাম। ]
হনুমানজীর পঞ্চমুখের বর্ণনা :
হনুমানজীর পাঁচটি মুখ হল এইরকম : হনুমান, নরসিংহ, গঢ়ুর, বরাহ ও হায়গ্রীভ বা অশ্বরুপ। এই পাঁচ রুপের মধ্যে নরসিংহ রুপ, গঢ়ুর রুপ ও বরাহ রুপ ভগবান বিষ্ণুর রুপ। এবার একে একে জেনেনি এই পাঁচটি রুপ সম্পর্কে।
হনুমান মুখ : পঞ্চমুখী হনুমানজীর এই হনুমান মুখ উওর দিশাতে রয়েছে। হনুমানজীর এই রুপ শত্রু দমন করে।
নরসিংহ মুখ : হনুমানজীর এই রুপ দক্ষিণ দিশাতে রয়েছে। বিভিন্ন ভয় ভীতি দূর করে হনুমানজীর এই নরসিংহ রুপ।
গঢ়ুর মুখ : পশ্চিম দিশাতে অবস্থিত হনুমানজীর এই গঢ়ুর রুপ সকল সৌভাগ্যের প্রতীক। এই রুপ ভক্তদের সকল বাধা বিঘ্ন কাটিয়ে দেয়।
বরাহ মুখ : উওর দিশাতে হনুমানজীর এই রুপ দীর্ঘায়ু ও ধন প্রাপ্তির প্রতীক।
হায়গ্রীভ বা অশ্বমুখ : পঞ্চমুখী হনুমানজীর এই রুপ ঊর্ধ্ব দিশাতে রয়েছে। এই রুপ ভক্তদের যে কোন কষ্টের নিবারণ করে। মনের শুভকামনা গুলির ফল পাওয়া যায়। হায়গ্রীভ নামক দৈত্যের দমন করতে হনুমানজী এই রুপ ধারন করেছিলেন।
[ আরও পডুন : অষ্ট সিদ্ধি দাতা হনুমানজী ]
নরসিংহ মুখ : হনুমানজীর এই রুপ দক্ষিণ দিশাতে রয়েছে। বিভিন্ন ভয় ভীতি দূর করে হনুমানজীর এই নরসিংহ রুপ।
গঢ়ুর মুখ : পশ্চিম দিশাতে অবস্থিত হনুমানজীর এই গঢ়ুর রুপ সকল সৌভাগ্যের প্রতীক। এই রুপ ভক্তদের সকল বাধা বিঘ্ন কাটিয়ে দেয়।
বরাহ মুখ : উওর দিশাতে হনুমানজীর এই রুপ দীর্ঘায়ু ও ধন প্রাপ্তির প্রতীক।
হায়গ্রীভ বা অশ্বমুখ : পঞ্চমুখী হনুমানজীর এই রুপ ঊর্ধ্ব দিশাতে রয়েছে। এই রুপ ভক্তদের যে কোন কষ্টের নিবারণ করে। মনের শুভকামনা গুলির ফল পাওয়া যায়। হায়গ্রীভ নামক দৈত্যের দমন করতে হনুমানজী এই রুপ ধারন করেছিলেন।
[ আরও পডুন : অষ্ট সিদ্ধি দাতা হনুমানজী ]
পঞ্চমুখী হনুমান পূজার লাভ :
বলা হয় জীবনের যেকোন কষ্টের লাঘব করতে হনুমানজীর এই রুপের আরাধনা করা হয়। আপনার যে কোন বাধা বিপত্তিতে এই পঞ্চমুখী হনুমানীর আরাধনা খুবই ফলদায়ক।
- এই রুপে হনুমানজীর পাঁচটি রুপের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি রুপে তিনটি করে সুন্দর নয়ন রয়েছে। এই ত্রিনয়ন আমাদের জীবনের তিন তাপ অর্থাৎ আধ্যাত্মিক, আধা দৈবিক ও আধা ভৌতিক তাপের থেকে মুক্তি প্রদান করে।
- বলা হয়ে থাকে হনুমানজীর এই রুপের পূজা করলে সব দেব দেবীর ফল পাওয়া যায়।
- পঞ্চমুখী হনুমানজীর পূজায় আর যা যা ফল পাওয়া যায় :
- আর্থিক ও মানসিক কষ্ট দূর হয়।
- যেকোন রকম দুঃশ্চিন্তা ও ভয় থেকে মুক্তি লাভ হয়।।
- শত্রু বাধা দূর হয়।
- যে কোন বাধা বিঘ্ন কেটে যায়।
- সৌভাগ্য ফিরে আসে।
- ধন প্রাপ্তি হয়।
- ভক্তরা দীর্ঘায়ু হন।
পঞ্চমুখী হনুমানজীর পূজা বিধি :
বজরংবলীর পঞ্চমুখের আরাধনা আপনি আপনার বাড়িতে বা নিকটবর্তী কোন মন্দিরে গিয়ে করতে পারেন। আপনি মঙ্গলবার এই পূজা করবেন। লাল আসনে বসে ধূপ ও প্রদীপ জ্বালিয়ে পূজা করবার বিধি রয়েছে। হনুমানজীকে লাল ফুল এবং সিঁদুর অর্পন করবেন। অবশ্যই ব্রহ্মচারী ব্রত পালন করবেন এবং নিরামিষ আহার গ্রহন করবেন।
বাড়িতে কোন পঞ্চমুখী হনুমানজীর ছবি থাকলে সেটিকে বাড়ির প্রবেশদ্বারের ওপর লাগান যাতে যেতে আসতে আপনার বাড়ির সকল সদস্যের চোঁখে পড়ে।
কলী যুগের একমাত্র দেবতা হনুমানজী এই রুপ ধারন করে ছিলেন দুষ্টের দমনে। এর পাঁচটি মুখেরই আলাদা আলাদা মাহাত্ম রয়েছে। তাই যে কোন প্রকার ভূত, প্রেত বা শত্রু ভয়, মৃত্যু ভয় বা শৌর্য প্রাপ্তির জন্য এই পঞ্চমুখী হনুমানজীর পূজা করা হয়। যদি আপনিও কোন সমস্যার মধ্যে থাকেন তালহে আপনিও শুরু করুন পঞ্চমুখী হনুমানজীর পূজা।
[ আরও পডুন : Shri Hanumat Stavan in Bengali with meaning – অর্থসহ শ্রীহনুমৎ স্তব ]
কলী যুগের একমাত্র দেবতা হনুমানজী এই রুপ ধারন করে ছিলেন দুষ্টের দমনে। এর পাঁচটি মুখেরই আলাদা আলাদা মাহাত্ম রয়েছে। তাই যে কোন প্রকার ভূত, প্রেত বা শত্রু ভয়, মৃত্যু ভয় বা শৌর্য প্রাপ্তির জন্য এই পঞ্চমুখী হনুমানজীর পূজা করা হয়। যদি আপনিও কোন সমস্যার মধ্যে থাকেন তালহে আপনিও শুরু করুন পঞ্চমুখী হনুমানজীর পূজা।
[ আরও পডুন : Shri Hanumat Stavan in Bengali with meaning – অর্থসহ শ্রীহনুমৎ স্তব ]