Did Hanuman create the Bermuda Triangle / Is Ramayana or Hanuman linked to Bermuda Traingle
Barmuda Triangle and Lord Hanuman |
আমরা সবাই বিখ্যাত বারমুডা ট্রাইএঙ্গেল সম্পর্কে শুনেছি বা জেনেছি। পৃথিবীতে আজ পযর্ন্ত যত অমিমাংসিত রহস্য রয়েছে তার মধ্যে এটি অন্যতম। এই স্থানে অনেক জাহাজ ও প্লেন নিখোঁজ হয়েছে যা হদিশ আজও পাওয়া যায় নি। কিন্তু আপনি হয়ত জানেন না ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনী রামায়ণে এমনই কিছু ঘটনার উল্লেখ আছে যা থেকে বলা যেতেই পারে যে এই রহস্যময় স্থানটি হনুমানজীর সৃষ্টি। আজ আমরা বারমুডা ট্রাইএঙ্গেল সম্পর্কে এমন কিছু রহস্যের খোলাসা করব যা আপনাকে অবাক করতে বাধ্য। রইল বারমুডা ট্রাইএঙ্গেল রহস্য ও হনুমানজীর কৃতীত্ব :
[ আরও পড়ুন : বাংলায় সংক্ষিপ্ত সুন্দরকান্ড পাঠ এবং এর উপকারীতা ]
শয়তানের ত্রিভুজ হিসাবে পরিচিত বারমুডা ট্রায়াঙ্গল উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চলের মায়ামি, ফ্লোরিডা উপদ্বীপ, সান জুয়ান, পুয়ের্তো রিকো এবং বারমুডার মধ্য আটলান্টিক দ্বীপে তিনটি শীর্ষ দিয়ে আনুমানিক পাঁচ লক্ষ বর্গ মাইল জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। এখানে বেশ কয়েকটি বিমান এবং জাহাজ যাত্রী সমেত রহস্যজনক ভাবে অদৃশ্য হয়ে গেছে বলে জানা যায়। পরবর্তীতে যার কোন চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায় নি।বারমুডা ট্রাইএঙ্গেলের ঘটনা গুলো আজও বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানী এবং পদার্থবিদদের স্তম্ভিত করে তুলেছে। এর উত্তর বিজ্ঞানের কাছে আজও অজানা।
[ আরও পড়ুন : হিন্দু পুরাণ অনুসারে আট চিরঞ্জীবি ]
বারমুডা ত্রিভুজের রহস্যময় গল্পগুলি ক্রিস্টোফার কলম্বাসের সময় থেকে শুরু হয়েছিল। তার কথায় তিনি প্রথম যাত্রা করার সময় ত্রিভুজটিতে সমুদ্রের মধ্যে আগুনের শিখা জ্বলতে দেখেছিলেন। তবে, এই অঞ্চলের রহস্যজনক ঘটনা গুলি বিংশ শতাব্দীতে জনসাধারণের নজরে আসে। নৌবাহিনী জাহাজ, ইউএসএস সাইক্লপস, জাহাজে প্রায় 300 জনের বেশি যাত্রী নিয়ে বারমুডা ট্রাইএঙ্গেলে নিখোঁজ হয়। এই অঞ্চলের সর্বশেষ ঘটনাটি 2019 সালের মে মাসে একটি ছোট বিমান নিখোঁজ হয়ে যাওয়া।
[ আরও পড়ুন : চাকরি পাওয়ার জন্য শক্তিশালী হনুমান মন্ত্র ]
এই রহস্যের ব্যাখ্যা আজও বিজ্ঞান সঠিক ভাবে দিতে পারে নি। বিভিন্ন জন বিভিন্ন মত দিয়েছেন। তবে কোন কারনের পেছনেই কোন জোরাল কোন তথ্য প্রমাণ নেই। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, রামায়ণে এই রহস্যের এমন কিছু বর্ণনা আছে যা অনেকের মতে এই বারমুডা ট্রাইএঙ্গেলে লুকিয়ে থাকা রহস্যর সত্য উন্মোচিত হয়েছে ।
[ আরও পড়ুন : আপনার রাশিচক্র অনুসারে হনুমান মন্ত্র ]
রামায়ণে এক দৈত্যাকার রাক্ষসী সিংহিকার বর্ণনা রয়েছে। সেই রাক্ষসীর বাস ছিল হিন্দু সাগরে [ভারতীয় মহাসাগরে]। ভগবান ব্রহ্মার কাছ থেকে তিনি বর পেয়েছিলেন যে যেকোন বস্তুর ছায়া আটকে রাখার ক্ষমতা দিয়েছিলেন। তাই তার আরেক নাম ছায়াগ্রাহী। এই কারণে, কেউ তার পাশ দিয়ে যাওয়ার ভ্রমণ করতে সাহস করে নি। সীতার সন্ধানে হনুমান যখন সমুদ্রের ওপর দিয়ে লঙ্কার উদ্দেশ্যে উড়ে যাচ্ছিলেন , তখন তিনি অনুভব করেছিলেন যে হঠাৎ কেউ তার শক্তি ক্রমাগত হ্রাস করছে এবং হনুমানকে নিজের দিকে টেনে আনার চেষ্টা করেছে। হনুমান শীঘ্রই বুঝতে পেরেছিলেন যে তার গতি কমছে, তিনি শক্তিহীনতা বোধ করছে, তিনি কোন প্রচুর অদৃশ্য চাপের মধ্যে রয়েছে।
[ আরও পড়ুন : ভারতের বাইরে হনুমান মন্দিরগুলি ]
এ বিষয়ে সুন্দর কান্ডের, শ্লোক 5-1-185 বলেছে :
সমক্ষিপ্তো.আস্মি তারাসা পজন্নুকৃতপ্রক্রামঃ |
প্রতিমিলোমেনা ভাতেনা মহানৌরিভ সাগরে ||
বাংলা অনুবাদ: ছায়া আঁকড়ে ধরার সময় হনুমান ভাবলেন “প্রতিপক্ষের বাতাসের সমুদ্রের একটি দুর্দান্ত নৌকার মতো আমাকেও অক্ষম শক্তি দিয়ে জোর করে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।”
Hanuman against Sinhika |
এর কারন খুঁজতে হনুমানজী যখন এদিকে সেদিকে তাকাচ্ছেন, তখন সে দেখল একটি ভাসমান দৈত্যাকার রাক্ষসী তার ছায়াকে তার দিকে টানছে। সে হনুমানকে তার বিশালাকার মুখে গ্রাস করবার চেষ্টা করেছিল। তবে হনুমান তার বিশাল দেহের আকার হ্রাস করে এবং তার মুখের ভিতরে প্রবেশ করে তার নখ দিয়ে দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলি নষ্ট করে তাকে হত্যা করে।
[ আরও পড়ুন : হনুমানজীর নব নিধির গোপন রহস্য ]
সুন্দর কান্ড, শ্লোক 5-1-184
ততস্যস্য নখাইস্তিক্নিরমার্মণ্যুত্রত্য্য বণরঃ | উতপাটাথ ভেগেনা মনঃ সম্পতাভিক্রমঃ || 5-1-194
বাংলা অনুবাদ: তারপরে হনুমা তার তীক্ষ্ণ নখ দিয়ে তার অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলি নষ্ট করলেন এবং তার পরে চিন্তার গতির সমান গতিতে উড়ে গেলেন।
কথিত আছে যে, রাক্ষস সিংহিকার কন্যা যিনি উওরাধিকারসূত্রে কোন বস্তুর ছায়া ধরে রেখে গ্রাস করবার ক্ষমতা পেয়েছিলেন তিনি হনুমানের এই কর্ম কান্ডে ভীত হয়ে হিন্দু মহাসাগর [ বর্তমানে ভারত মহাসাগর ] থেকে পালিয়ে কোন রহস্যময় জায়গায় চলে গিয়েছিল, যা স্পষ্টতই অনুমান করা হয় বারমুডা ট্রাইএঙ্গেল।
এ প্রসঙ্গে রামায়নে আরও একটি কাহিনী বর্ণিত আছে :
Lord Rama Vs Ravana |
রাবণ শিবের এক মহান ভক্ত ছিলেন। তিনি শিবের তপস্যা করেন। শিব তার তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে এক রত্নও উপহার দিয়েছিল যা তাঁর নাভিতে অমৃতের পুনর্জন্মে সহায়তা করেছিল। এই রত্নের বলেই রাবণ অপরাজেয় ছিলেন এবং সে অমরত্ব লাভ করছিলেন। স্থির হয়েছিল যে যতক্ষণ এই রত্ন তার শরীরে স্থায়ী ততক্ষণ তাকে কেউ পরাজিত করতে পারবে না বা তাকে বধ করতে পারবে না।
[ আরও পড়ুন : কিভাবে হনুমান চালিশা মন্ত্র বৈজ্ঞানিকভাবে কাজ করে ]
রাম এবং রাবনের মধ্যে যুদ্ধের ঠিক আগে শিব এক ব্রাহ্মন ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং রাবণের স্ত্রী মন্দোদরীকে অনুরোধ করেছিলেন যে ঐ রত্নটিকে দক্ষিণা হিসাবে দেওয়ার জন্য। মন্দোদরী খুব ভাল করেই জানত যে রত্নটির গোপনীয়তা শিব, তিনি নিজে এবং রাবণ ছাড়া আর অন্য কারও জানা ছিল না। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে এটি রাবণের সময়ের সমাপ্তি এবং তিনি ভিক্ষুক রুপি শিবকে প্রত্যাখ্যান না করেই রত্নটি দিয়ে দেন। যুদ্ধের সময়, ভগবান রাম তাঁর নাভিতে ব্রহ্মের তীর নিক্ষেপ করেলেন, রাবণ মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন এবং তার শিবের দেওয়া রত্নটি না থাকার কারনে অমরত্বের অমৃত তাঁর দেহ থেকে বেরিয়ে এসেছিল এবং রাবণকে হত্যা করা সম্ভব হয়েছিল।
[ আরও পড়ুন : Hanuman Chalisa in Hindi ]
সুতরাং রাবণের মৃত্যুর পরে রত্নটিকে এমন একটি অঞ্চলে স্থাপন করতে হয়েছিল যা মণির সমস্ত শক্তি শোষণ করতে পারে যাতে তা মানব জাতি সহ অন্য কোন প্রানীর ক্ষতি না করতে পারে। ভগবান হনুমান যিনি রত্নটি গ্রহণ করেছিলেন রামের আদেশে তার প্রভাব ও শক্তি হ্রাস করার জন্য তিনি তা গভীরতম সমুদ্রে কোন এক অজানা স্থানে স্থাপন করেছিলেন। অনেকের মতে মহাসাগরের গভীরতম গোপন যে স্থানে মণিটি স্থাপন করা হয়েছিল তা আজ বারমুডা ট্রাইএঙ্গেল হিসাবে পরিচিত।
[ আরও পড়ুন : ভগবান হনুমান কি এখনও বেঁচে আছেন? ]
যদিও এই দাবি গুলোর পিছনে কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই, তবে বারমুডা ট্রাইএঙ্গেলের রহস্যের পেছনে যে সমস্ত তত্ব রয়েছে তার মধ্যে এটিকে একদম অস্বীকার করা যায় না। প্রথম যখন বলা হয়েছিল যে রাম সেতুটির অস্তিত্ব, তখন অনেকে বিশ্বাস করেননি, কিন্তু পরে বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রমাণ করেছিল যে পৃথিবীতে ভাসমান প্রস্তর রয়েছে এবং শ্রীলঙ্কা ও তামিলনাড়ুর মধ্যকার আদম সেতুটি রয়েছে তা মানুষের তৈরি। পৃথিবী তখন বুঝতে পেরেছিল যে রামায়ণ নিছক কোন গল্প গাথা নয়। সুতরাং আমরা তত্ত্বটিকে কেবল রামায়ণের সাথে যুক্ত করার কারণে প্রত্যাখ্যান করার আগে, একটি চিন্তাভাবনা দেই!